April 27, 2024, 9:06 am

সাইনবোর্ডে পুলিশের নাকের ডগায় আসলামের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজ আসলাম ওরফে বরিশাইল্লা আসলাম। র‌্যাব, থানা, ডিবি ও হাইওয়ে পুলিশের নাম ব্যবহার করে দৈনিক কমপক্ষে অর্ধলক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি করছে আসলাম বাহিনী। রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা সড়ক বন্ধ করে থ্রি-হুইলার, লেগুনা, অটোরিক্সা থেকে চাঁদাবাজিসহ সড়কের দুপাশের শতাধিক দোকান থেকেও চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার কামরুলের অন্যতম সহযোগী সাহেবপাড়া এলাকার বরিশাইল্লা আসলামের নেতৃত্বে বাসেদ, রুবেল, সৈকত, দাত ভাঙ্গা রাসেল, সিয়ামসহ কয়েকজন চাঁদাবাজরা চাঁদাবাজি করছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। সাইনবোর্ড, সাহেবপাড়া ও মিতালী মার্কেট এলাকায় চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংরোডের চৌরঙ্গী ফিলিং স্টেশনের সামনে অবৈধভাবে সড়ক দখল করে সিএনজি স্ট্যান্ড বানিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদা আদায়ের জন্য বেতনভূক্ত কয়েকজন লোক নিয়োগ নিয়েছে আসলাম।
সরেজমিনে শনিবার সাইনবোর্ড গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি সিএনজি চালকের কাছ থেকে ৬০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে আসলামের নিয়োজিত রুবেল ও সৈকত। জানতে চাইলে তারা জানায় আসলামের নির্দেশে সিএনজি থেকে চাঁদা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএনজি চালক জানায়, চাঁদা না দিলে আসলাম ও তার লোকজন মারধর করে।
মহাসড়কে সিএনজি চলাচলে বিধি নিষেধ থাকায় আসলাম হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও র‌্যাব ম্যানেজ করার কথা বলে চাঁদা নিচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আসলাম ও কামরুল সিএনজি স্ট্যান্ড বাদেও সাহেবপাড়া বাজার থেকে মাসে দেড় লাখ টাকা, প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের ৬টি অ্যাম্বুলেন্স থেকে ৬ হাজার টাকা করে মাসে ৩৬ হাজার টাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পার্কিং করে রাখা লাব্বাইক, লাভলী, অনাবিল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান থেকে গাড়ি প্রতি দৈনিক ২০০ টাকা করে ২ শতাধিক গাড়ি থেকে মাসে প্রায় ১২ লাখ টাকা, মহাসড়কের উত্তর পাশে বিভিন্ন পরিবহন টিকিট কাউন্টার থেকে ৫ হাজার করে মাসে দেড় লাখ টাকা, অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান ভাড়া দিয়ে মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করছে।
এছাড়াও মিতালী মার্কেট, সাহেবপাড়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিডিকে সিএনজি পাম্পের দক্ষিণ পাশে মাদকের আস্তানা, আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় একাধিক মাদক স্পট নিয়ন্ত্রন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবাহিনী।
তাদের বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল মহড়া দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাই করার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে আসলামের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলে রিং হলেও রিসিভ করেননি। তবে এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন কামরুল।
হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই শরফুদ্দিন ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা