October 4, 2024, 3:41 pm

সাঘাটায় উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪টি পদে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মোটা অংকের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

সোহাগ মৃধা, গাইবান্ধা ঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪টি পদে প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমানের বিরুদ্ধে গোপনভাবে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা ঢাকার মাওশি, ইএমআইএস, রংপুরের ডিডিপিএম, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, রংপুরের দুদক, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ওই নিয়োগ বন্ধ করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক, নিরাপত্তাকর্মী, নৈশ্য প্রহরী ও আয়া পদে বিদ্যালয়ে নিয়োগ নোটিশ না দিয়ে পত্রিকায় গোপনভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরবর্তীতে যেন কোন লোকজন জানতে পারে সেজন্য গত ২ নভেম্বর রাতের বেলায় উক্ত চারটি পদে ফুলছড়ি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নামমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়। এরপর ওই চার প্রার্থীদের কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গত ৬ নভেম্বর তাদেরকে যোগদানপত্র প্রদান করে।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. তৈয়বুর রহমান মৃধা জানান, প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমানের নিজেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক না হয়ে ওই চার প্রার্থীকে গোপনভাবে নিয়োগ প্রদান করেছে। প্রধান শিক্ষক তাকে কোন কিছু না জানিয়েই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে। এজন্য ম্যানেজিং কমিটির ৫ জনের মধ্যে ৪ জন এখন পর্যন্ত যোগদানপত্রের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেননি। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের সম্মুখ গেটে আমার ওষুধের দোকান রয়েছে। তিনি সারাদিন বিদ্যালয়ের সামনে থেকেও নিয়োগের বিষয়টি কিছুই জানেন না। পরবর্তীতে যাদেরকে নিয়োগের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিরা জানেন না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান তার বিরুদ্ধে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে শিক্ষক নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি বৈধভাবে পরীক্ষা নিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কিংবা কোন সদস্য বা অভিভাবকরা কি মনে করলো সেটা তার দেখার বিষয় নয়। তিনি বলেন, যথাযথ নিয়মানুসারে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মাস আগেও প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত দুই মাস হলো মাহফুজার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক দাবি করলেও তিনি বর্তমানে নিজেই এমপিওভুক্ত নন এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে তার কোন ইনডেক্স নম্বর নেই।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা