April 27, 2024, 2:17 am

কেশবপুরে থানা কম্পাউন্ডে সবজি চাষে সবুজের সমারোহে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ

শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) কেশবপুর থানা কম্পাউন্ডে সবজি চাষ করায় সবুজের সমারোহে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী দেশে কোন জমি পতিত থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশ বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশক্রমে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ উদ্দীনের উদ্যোগে থানার কম্পাউন্ডের ভেতরে পড়ে থাকা পতিত জমির ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করে শাক-সবজির চাষ শুরু করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ফলজ গাছের চারা রোপণ করেছেন।

গত সোমবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কেশবপুর থানা কম্পাউন্ডের ভেতর পতিত জমির ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করার পাশাপাশি নিচু জায়গায় মাটি ভরাটের মাধ্যমে উঁচু এবং চাষের উপযোগী করে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত লাল শাক, কলমি শাক, পুঁই শাক, সবুজ শাক, বরবটি, ঢ়েঁড়স, সিম, কাঁচা মরিচ, টমেটো, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, করলা, ঝিংগা, পেঁপে সহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ শুরু করেছেন। সবজির ক্ষেত পরিচর্যা ও তদারকি করছেন কেশবপুর থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন এবং পুলিশ সদস্যরা।
চলতি মাসের কয়েকদিন আগে ওসি নিজেই বিভিন্ন প্রকারের সবজির বীজ বপন করেন। শুধু তাই নয়! বিভিন্ন ধরনের ফলজ গাছের চারা রোপণ করেছেন। ওই সবজির ক্ষেতের চারাগুলো ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠায় থানার কম্পাউন্ডের পরিবেশ এখন সবুজের সমারোহে রূপ নিয়েছে। এছাড়াও থানার কম্পাউন্ডের ভেতরে বড় বড় গাছে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত বিরল প্রজাতির পানকৌড়ি, বক সহ বিভিন্ন পাখির কলতানে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে থানা কম্পাউন্ড মুখরিত হয়ে উঠে। এমনকি ভোরবেলায় পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে ওঠে অনেকেই।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা অনুযায়ী দেশে কোন জমি পতিত রাখা যাবে না। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মহোদয়ের নির্দেশক্রমে এবং যশোর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয় এর দিকনির্দেশনায় থানার কম্পাউন্ডে পরিত্যক্ত জায়গার ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ এবং বিভিন্ন ফলজ গাছের চারা রোপণ করতে পেরে আমি নিজেকে আনন্দিত ও গর্বিত মনে করছি। সরকারের এই মহতি উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। থানার ভেতর সবজির চাষ করায় এখানকার সকল পুলিশ সদস্যরা বিষমুক্ত শাক-সবজি খেতে পারবো। তিনি আরো বলেন, পুলিশের এই উদ্যোগ দেখে অন্যরাও পতিত জমি ও বাড়ির অঙ্গিনায় শাক সবজী চাষ করতে আগ্রহী হবে বলে আমি মনে করছি।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা