May 19, 2024, 11:31 am

কেশবপুরে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালনের লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা

শামীম আখতার বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) কেশবপুরে ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করার লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রস্তুতিমূলক সভায় আলোচনার মাধ্যমে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রস্তুতিমূলক সভায় কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সমরেশ কুমার দত্ত, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ এস এম জিল্লুর রশীদ , কেশবপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস, উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু, কেশবপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান প্রমূখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিক, উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আলমগীর হোসেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ বজলুর রশিদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুপালী রানী, উপজেলা সমবায় অফিসার মোছা: নাসিমা খাতুন, উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা এম এম আলমগীর কবীর, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শোভা রায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ আব্দুস সামাদ, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান, পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ­­­১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে স্বপরিবারে নিহত হন। সেদিন রাতে বঙ্গবন্ধুর সাথে নিহত হন তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী কামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিল উদ্দীন নিহত হন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। এটা বাংলার ইতিহাসের এক কলঙ্কিত বর্বরোচিত অধ্যায়।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা