April 27, 2024, 5:30 am

কেশবপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

শামীম আখতার বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) কেশবপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচীর মধ্যে ১৫ আগষ্ট (মঙ্গলবার) সকাল ৮:০০ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা, যুব ঋনের চেক, পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন সভাপতিত্ব করেন।

উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক চম্পা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুজ্জামান।

অনান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সজীব সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু তপন কুমার ঘোষ মন্টু, কেশবপুর নাগরিক সমাজের সভাপতি আবুবকর সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তাহিয়া তাবাচ্ছুম আদৃতা ও খাদিজা সুলতানা জীম।

আলোচনা সভা শেষে ১৫ই আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ স্বপরিবারের সকল নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান।

দোয়া মাহফিল শেষে শিশুদের চিত্রাংকন, রচনা, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির লক্ষে যুব ঋণের চেক বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রিমা আক্তার, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার পুলোক কুমার সিকদার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আলমগীর হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুপালী রানী, উপজেলা সমবায় অফিসার মোছা: নাসিমা খাতুন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শোভা রায়, উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ আব্দুস সামাদ, কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মছিহুর রহমান, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান, সদস্য দিলীপ মোদক, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ­­­১৫ই আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির বাসভবনে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্যের হাতে স্বপরিবারে নিহত হন। বঙ্গবন্ধুর সাথে নিহত হন তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী কামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিল উদ্দীন নিহত হন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। এটা বাংলার ইতিহাসে এক কলঙ্কিত বর্বরোচিত অধ্যায়।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা