May 19, 2024, 4:11 pm

বঙ্গবন্ধু কন্যা যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে-এমপি শাহীন চাকলাদার

শামীম আখতার বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে তখনই এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। দেশরত্ম শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় উন্নয়নের ছোয়া পৌঁছে দিয়েছেন ও শান্তি স্থাপন করেছেন। ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দেশের আপামর জনগণ শান্তিতে আছেন। শুক্রবার বিকেলে মধ্যকুল মোড়লপাড়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র সফল রাষ্ট্র নায়ক তিনি। এতে করেই বিএনপি-জামায়াতের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। দেশ-বিদেশে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের এই উন্নয়নের গতি বাঁধাগ্রস্ত করতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।
তিনি আরো বলেন, এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী চক্র, যাঁরা ধর্ম ব্যবসা করে তারা কিন্তু সবসময় আমাদের আওয়ামী লীগের বিপক্ষে বলেছেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলে মসজিদে আর আযান হবে না, উলুর ধনী হবে, বাংলাদেশ হিন্দু রাষ্টে পরিনত হবে। এসব বিভিন্ন ধরনের মৌলবাদী কথাবার্তা অপপ্রচার চালিয়ে ২১টি বছর তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন। সে সময় মানুষের কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল ফুরিয়ে গিয়েছিলেন। এই দেশের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি। বাংলাদেশের মানুষ সেটা যখন বুঝতে পেরেছে, তখনই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এনেছেন। যার কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর পরিবার একমাত্র এ দেশের মানুষের আশ্রয়স্থল ও শেষ ঠিকানা। সেটা কিন্তু মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যেমন স্বপ্ন দেখেন, তেমনি সেটা বাস্তবায়ন করেন এবং সেগুলো দৃশ্যমান। তিনি কিন্তু দেখিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের কোন লোক যেন না খেয়ে থাকেন সেই ব্যবস্থাটুকু নিশ্চিত করেছেন। যার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া ও দীর্ঘায়ু কামনা করবো। তিনি যেন সুস্থ থাকেন। তিনি বেঁচে থাকলে এদেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের চোখের জল আর পড়বেনা। আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের রুপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে চাইলে আপনারা আবার নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।

উঠান বৈঠকে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল আজিজ সানা সভাপতিত্ব করেন।

পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হুমায়ূন কবির এর সঞ্চালনায় উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন কেশবপুর পৌরসভার মেয়র ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম।এলাবাসীর মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মিজানুর রহমান, বিউটি বেগম, পঞ্চানন কর্মকার ও তৃতীয় লিঙ্গের সোনালী সরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের বন বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, সদস্য মশিয়ার রহমান সাগর, রেজাউল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়, সহ দপ্তর সম্পাদক মনোজ তরফদার, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মহিবুর রশীদ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এস এম বাবর আলী, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাবেয়া ইকবাল, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী মিনু রানী হালদার, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ সালাহউদ্দীন, প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম মঞ্জুর রহমান, গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগের পৌর শাখার সভাপতি শহিদুজ্জামান শহিদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, ছাত্রলীগনেতা মুন্নাফ হোসেন প্রমূখ। এছাড়াও উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের আগমনে ঈদগাহ ময়দান কানাই কানাই পূর্ণতায় উঠান বৈঠক জনসভায় পরিনত হয়। ওইসময় নেতাকর্মীদের জয় বাংলা শ্লোগানে শ্লোগানে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা