May 19, 2024, 4:11 pm

কেশবপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরের কেশবপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‍্যালি বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়।

র‍্যালি শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন সভাপতিত্ব করেন।

উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আরিফুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার, কেশবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস, কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক রোজীনা খানম, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন, উপজেলা সমবায় অফিসার নাসিমা খাতুন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রভাত কুমার রায়, সহকারী উপজেলা প্রোগ্রামার আব্দুস সামাদ, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ ও কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১০ এপ্রিল জনগণের রায়ে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয় বাংলাদেশের প্রথম প্রবাসী সরকার, যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা (বর্তমান মুজিবনগর) আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। সেই সরকারের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু তিনি তখন পাকিস্তানে কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুক্তিবাহিনী সংগঠন, সমন্বয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় এবং যুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহায়তাকারী রাষ্ট্র ভারত সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক রক্ষায় এই সরকারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এই সরকার গঠনের পর থেকে অগণিত মানুষ দেশকে মুক্ত করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যার ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা