October 4, 2024, 2:24 pm

মওলানা ভাসানীকে নিয়ে কুটুক্তি : শামীমকে ক্ষমা চাইতে হবে : মোস্তফা

ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক-ইন সেন্টারে শনিবার ‘সংকটে অর্থনীতি: কর্মপরিকল্পনা কী হতে পারে’ শীর্ষক সংলাপে জাতীয় পার্টি এমপি ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী কোন যোগ্যতা ও কোন সাহসের ভিত্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা, উপমহাদেশের আজাদী আন্দোলনের মহান নেতা, মুক্তিযুদ্ধকালিন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ও বঙ্গবন্ধু সহ বহু নেতার রাজনৈতিক পিতা ও মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর সঙ্গে দেশের অর্থ মন্ত্রীর তুলনা করলেন বলে প্রশ্ন রাখেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে মওলানা ভাসানী নিয়ে কুটুক্তি করার জন্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে প্রকাশ্যে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “সংকটে হাসপাতালে চলে যেতেন ভাসানী, অর্থমন্ত্রীও কি তাঁকে অনুসরণ করছেন” এ মন্তব্যের মাধ্যমে শামীম পাটোয়ারী নিজের অজ্ঞতা ও রাজনৈতিক দৈনতা প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রমান করলেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও প্রকৃত অর্থে তিনি তা বিশ্বাস করেন না।

ন্যাপ মহাসচিব আরো বলেন, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী সম্পর্কে ধৃষ্টতা পূর্ণ বক্তব্য প্রমান করে শুধু ব্যারিষ্টার হলেই মানুষ জ্ঞানি ও দেশপ্রেমিক হয় না। কোন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী মওলানা ভাসানী সম্পর্কে এ ধরনের ধৃষ্টতা পূর্ণ বক্তব্য রাখতে পারে না।

তিনি বলেন, শামীম হায়দার পাটোয়ারী হয়তো জানেনই না, মওলানা ভাসানী ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলীম লীগ যা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট গঠন, ৫৭ সালে পাকিস্তানী শাসকগোষ্টির বিরুদ্ধে ‘আসসালামু আলাইকুম’ উচ্চারনের মাধ্যমে বাঙ্গালিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানো, ৬৯’র গণআন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তকরা, ৭০-এ ঘুর্ণিঝড় পরবর্তীতে ভোটের বাক্সে লাথি মারো পূর্ব বাংলা স্বাধীন কর, ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধকালিন প্রবাসী সরকারের প্রধান, ১৯৭৬ সালে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ এভাবে শত শত রাজনৈতিক ঘটনার মহানায়ক হচ্ছেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বিনা ভোটে আর দিনের ভোট রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে সংসদ সদস্য হয়ে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্র, স্বাধীন বাংলাদেশের পথিকৃৎ মওলানা ভাসানী সম্পর্কে এ বক্তব্যের জন্য তাকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অবৈধ রাজনৈতিক দলের নেতা হয়ে জনগণের ভোট চুরি করে সংসদ সদস্য হয়ে মওলানা ভাসানীর জুতা বহনের যায় যোগ্যতা নাই তার মন্তব্য প্রমান করে দেশের রাজনীতি আজ অরাজনৈতিক মানুষরা কলুষিত করে ফেলছে। এসকল নীতিহীন মানুষদের রাজনীতি থেকে বিদায় করতে হবে।

তিনি বলেন, আফ্রো-এশিয়া র্যাটিন আমেরিকার নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের মুক্তির কন্ঠস্বর, উপমহাদেশের অবিসংবাদিত নেতা, আজীবন সংগ্রামী মওলানা ভাসানীকে যারা হেয় করতে ধৃষ্টতা দেখায় তারা দেশ ও রাজনীতির বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। শামীম পাটোয়ারী লুটেরা এবং নিপীড়ক গোষ্ঠীর পদলেহন কারী মাত্র। এরা সর্বাবস্থায় ফ্যাসিবাদ আর পুঁজিবাদের রক্ষক।

ন্যাপ মহাসচিব মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে নিয়ে শামীম হায়দারের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তাকে এমন বক্তব্যর জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা