April 26, 2024, 8:50 am

সন্তানকে খাবার দিতে না পেরে পিতার আত্মহত্যা

মুন্সিগঞ্জ- সরকার কর্তৃক ঘোষিত কঠোর লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে অভাবের কারণে পারিবারিক সমস্যা দেখা দেয়। তার জের ধরেই মুন্সিগঞ্জ সদরে এক দিনমজুর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম বরিশাল জেলার কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে মুক্তারপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনার কারণে কাজ না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দ্বীন ইসলাম। এনিয়ে স্ত্রী শাহিদা বেগমের সঙ্গে তার কলহ চলছিল। রোববার সকালে ফের তারা ঝগড়ায় লিপ্ত হন। এসময় স্ত্রী শাহিদাকে ঘর থেকে বের করে দেন দ্বীন ইসলাম। পরে দরজা আটকিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পরে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের মা জুলেখা বেগম বলেন, ‘আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। লকডাউনে কাজ ছিল না। ওর মাইয়া চাইব একটা রুটি, এই পোলা চাইব ভাত, এটি নিয়ে সংসারে সমস্যা। কাজ নাই, পুলাপাইনের মুখে ভাত দিতে পারে না, তাই অভিমানে মরে গেছে। নিহতের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, ‘লকডাউনে আমার ঘরে বাজার-সদাই কিছু ছিল না। সংসারে অভাব। পুলাপাইনরে খাওয়াইতে-লওয়াইতে পারছিলাম না। সংসারে অভাব দেইখা মনে করছে পুলাপাইনরে খাওয়াইতে পারি না, বাইচা থাকাইকা কী করুম। তিনি আরও বলেন, ‘এখন উনি (দ্বীন ইসলাম) মইরা গেছে, আমি কী করুম? লকডাউন খুললে তো একদিন কাজ করে আমাদের খাওয়াইতে পারত। এখন আমিতো তাও পারুম না।’ মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে করোনায় তার কাজ না থাকার বিষয়টি জানা নেই।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা