May 2, 2024, 7:10 am

ঝিনাইদহে করোনার হঠাৎ ছোবলে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫১, ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু!

জাহিদুর রহমান তারিক, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
হঠাৎ করেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে ঝিনাইদেহে। এতে হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। এদিকে আইসিইউ না থাকায় দেখা দিচ্ছে মৃত্যু নিয়ে শংকা। এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন একজন ব্যাংকার। চলতি বছরে প্রথম থেকে ঝিনাইদহে করোনা আক্রান্তের হার কম থাকলেও হঠাৎ করে তা বেড়ে গেছে। রোববার করোনা বৃদ্ধির হার ৫৪% বলে সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে। ঝিনাইদহ সিভির সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ ল্যাব থেকে ১১৩ টি নমুনার পরিক্ষার ফলাফলের মধ্যে ৫১জন আক্রান্ত হন। এ নিয়ে ঝিনাইদহে নতুন শনাক্তদের নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬জন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ৭৮ ব্যাক্তির লাশ দাফন করেছে। এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় রোগীদের অবস্থা খারাপ হলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এসব রোগী অনেকে আবার আইসিইউ না পেয়ে মারাও যাচ্ছেন। তাদের হিসাব জেলায় কাউন্ট হচ্ছে না। মিজানুর রহমান নামে এক নাগরিক জানান, করোনা পরীক্ষা কম করা হচ্ছিলো বলে আক্রান্তের সংখ্যাও কম হচ্ছে। রোববার বেশী নমুনা পরিক্ষা করায় আক্রান্তের হার বেড়েছে। চিকিৎসকরা মনে করেন পরিক্ষার সংখ্যা আরো বাড়ালে আক্রান্তের সংখ্যাও অরো বাড়তে পারে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ড: লিমন পারভেজ জানান, পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমরা নিজেরাই নতুন পরিস্থিতিতে হতভম্ব। তিনি মনে করছেন করোনার নতুন কোন ধরনের বিস্তার ঘটতে পারে। তিনি জানান, বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মানুষ মারা যাচ্ছেন। এদিকে রোববার শৈলকুৃপা জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আরিফুল ইসলাম (৩৯) করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই ব্যাকা ব্রীজ পাড়ার রবিউল খোন্দকারের ছেলে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাকে স্থানীয় পৌর গোরস্থানে দাফন করা হয় বলে উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান জানান।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা