February 5, 2025, 10:54 am

র‌্যাব-১ এর অভিযানে আশুলিয়া থানাধীন নরসিংহপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধু মারুফা (২৮) হত্যার মামলার মূল হত্যাকারী হাসান হাওলাদার ’কে রাঙ্গামাটি থেকে গ্রেফতার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি* গত ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখ সময় আনুমানিক ১১ ঘটিকায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন নরসিংহপুর সাকিনস্থ অন্ধ কলোনী মাধন চন্দ্র সরকারের ভাড়াটিয়া বাসায় বিবাদী মোঃ হাসান হাওলাদার (২২) ভিকটিম মারুফা বেগম (২৮)’কে গলা টিপে হত্যা করে লাশ ভিকটিমের বাসার খাটের উপর ফেলে পালিয়ে যায়। এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের চাচা মোঃ হেমায়েত হোসেন (৪০) বাদী হয়ে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন, যার নম্বর-২৪, তারিখ ০৯/১২/২০২১ ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়। এই নির্মম হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১ বর্ণিত হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে দ্রুততার সাথে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

৩। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ আনুমানিক ০০৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১, উত্তরা, ঢাকার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু থানার ভাই-বোন ছড়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত হত্যাকান্ডের মূল আসামী মোঃ হাসান হাওলাদার (২২), পিতা-মোঃ জাকির হোসেন, গ্রাম ও পোঃ-রায়হানপুর, থানা- পাথরঘাটা, জেলা-বরগুনা’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিম মারুফা বেগম (২৮)’কে হত্যার কথা স্বীকার করে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ হাসান হাওলাদার এর কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়।

৪। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম মারুফা বেগম পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী এবং তার স্বামী কুয়েত প্রবাসী। সে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন নরসিংহপুর সাকিনস্থ অন্ধ কলোনী মাধন চন্দ্র সরকারের ভাড়াটিয়া বাসায় তার ছেলে ফাহিম (০৬)’কে নিয়ে একা বসবাস করত। হত্যাকারী মোঃ হাসান হাওলাদার সম্পর্কে ভিকটিমের মামাতো দেবর হিসেবে পূর্ব পরিচিত। পরিচয়ের সূত্রে বিবাদী প্রায়শইঃ তার বাসায় আসা যাওয়া করত এবং তাদের মধ্যে গত ০১ বছর ধরে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে গত ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখ রাতে ধৃত আসামী মোঃ হাসান হাওলাদার ভিকটিমের বাসায় আসলে ভিকটিম মারুফা বেগম তাকে বিবাহ করার জন্য বলে। কিন্তু বিবাদী ভিকটিমকে বিবাহ করতে সময়ক্ষেপন করায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয় এবং রাত আনুমানিক ২৩০০ ঘটিকায় ভিকটিমের ছেলে ঘুমিয়ে পড়লে বিবাদী ভিকটিমকে গলা টিপে হত্যা করে লাশ খাটের উপর ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ধৃত আসামী রাঙ্গামাটি জেলায় গমন করে এবং সেখানে আত্মগোপনে অবস্থান করতে থাকে।

৫। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা