February 5, 2025, 9:43 am

মেঘনার নৌ-ডাকাত কানা জহিরসহ ১৪ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সীগঞ্জ সদরের মেঘনায় পুলিশ ও ডাকাতদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় শীর্ষ নৌ ডাকাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহিরসহ ১৪ জনের নামে পৃথক দু’টি মামলা রুজু করা হয়েছে। সদর উপজেলার চরআব্দুল্লাহ নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেন। গত রোববার রাতে মামলা দুটি নথিভুক্ত হয়।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম জানান, পুলিশের কাজে বাঁধা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত কানা জহিরকে প্রধান আসামি করে সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ছয়-সাত জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের অভিযানে ককটেল, গুলি, চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার ও স্পিডবোট জব্দের ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে অপর আরেকটি মামলা দায়ের করেন চরআব্দুল্লাহ নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান। এ মামলায়ও কানা জহিরকে প্রধান আসামি করে সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ছয়-সাত জনকে আসামি করা হয়।
গত শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে সদর উপজেলার কালীরচর গ্রামে পুলিশ ও মেঘনার নৌ-ডাকাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহির বাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এ সময় কানা জহিরের দুই সহযোগী গুলিবিদ্ধ হয়। গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে ডাকাত দল পালিয়ে গেলে ১১টি ককটেল, এক রাউন্ড রাইফেলের গুলি, একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার ও ডাকাত দলের ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট জব্দ করে পুলিশ।

কানা জহির ও তার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এখন মেঘনা। নৌপথে চাঁদাবাজ ও ডাকাত দলের প্রধান কানা জহির, শাহিনদের নিয়ন্ত্রণ ছাড়ছে না। কানা জহিরের বিরুদ্ধে ২৭টি, শাহিনের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে মুন্সীগঞ্জ সদর, গজারিয়া ও চাঁদপুর জেলায়।
কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও নেতাদের মাসোহারা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে এই ডাকাতরা মেঘনায় চাঁদাবাজিসহ ডাকাতি করে চলেছে।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) রাতে মেঘনায় ডাকাত-পুলিশ সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়।

মেঘনায় উত্তোলিত চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কানা জহির গংয়ের দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়কালে এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে একাধিক সূত্র জানায়। এ হত্যা দুটির ঘটনায় চাঁদপুর কিংবা মুন্সীগঞ্জ থানায় আজও মামলা হয়নি। সীমানা জটিলতার কারণে মামলা বিলম্ব হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা