নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:ভূমিদস্যু মো. দুলালকে প্রতারনা মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল বিচারিক আদালত। আটককৃত মো. দুলালের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬(২)/১০৯ ধারার জামিনের অযোগ্য ধারার অপরাধ। মো. দুলালকে জামিন দোর কোন যৌক্তিত কারন আদালতের নিকট প্রতীয়মান না হওয়ায় আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। ৩১ ডিসেম্বর মো. দুলালকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্র্র্তা নারায়ণগঞ্জের সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা আটক করে হাজির করলে তার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
মো. দুলাল (৪৫), নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নিমাইকাশারীর দুলাল ভবনের মৃত. জাহী ছন্দু মিয়ার ছেলে। মো. দুলাল ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে ঢাকার জগন্নাথপুরের ক-৪৭/৫, বি শান্দি নিবাসের উম্মে আসমা বাদি হয়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, আমলী আদালত নং-৮, নারায়ণগঞ্জ এর পিটিশন মামলা নং- ২৪৩/২০২৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ), ধারা-৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৫০৬(২) পেনাল কোড ধারায় মামলা করে। ওই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ সিআইডির এসআই মো. গোলাম মোস্তফাকে। তিনি মামলার সকল কাগজপত্র, স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য ও সকল নথিপত্র পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. দুলাল জমি ভাড়া নিয়ে জবরদখর করে জোরপূর্বক ও প্রতারনা করে জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেছে।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বাদি উম্মে আসমা নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত সিদ্ধিরগঞ্জ মৌজার এস-১৪৯ ও ১৬৭ নং, এসএ-১১২ ও ১৩৪ নং, আরএস-৪৮৩নং খতিয়ানভুক্ত সি.এস. ও এস.এ-৭১ নং দাগে ৫২ শতাংশের কাতে রূপান্তরিত আরএস- ১৯৯ নং দাগে ২৬ শতাংশ ও সিএস. ও এসএ-২৯ নং দাগে ১০৯ শতাংশের কাতে রূপান্তরিত আর এস-১৯৪ নং দাগে ৩১ শতাংশ সম্পত্তির কাতে ২১ শতাংশ, ২টি দাগে মোট ৪৭ শতাংশ সম্পত্তির আরএস রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন ডেঙ্গরী মাদবর ওরফে ডেঙ্গর আলীর পুত্র আব্দুস ছোবহান ওরফে আব্দুস ছোবান। উক্ত আব্দুস ছোবহান ওরফে আব্দুস ছোবান বর্ণিত ৪৭ শতাংশ সম্পত্তিতে মালিক স্বত্বাধিকারী ও ভোগ দখলকার থাকাবস্থায় তার নামে আরএস ৪৮৩ নং খতিয়ান যথার্থ শুদ্ধরূপে লিপি হয়ে চূড়ান্তরূপে প্রকাশিত হয়। অতঃপর আব্দুস ছোবহান ওরফে আব্দুস ছোবান বর্ণিত সম্পত্তিতে মালিক স্বত্বাধিকারী ও ভোগ দখলকার থাকাবস্থায় মৃত্যুকালে মো. মুসলিম মিয়া, মো. আসমত আলী, মো. মেহের আলী, তাজুমদ্দিন, আবু বক্কর সিদ্দিক, আব্দুল গাফফারকে ৬ পুত্র, মোসা. আমিনা খাতুনকে ১কন্যা এবং মোসা. সাহেবা খাতুনকে ১ স্ত্রী বিত্তভোগী ওয়ারিশ রেখে পরলোক গমণ করেন। উক্ত আবু বক্কর সিদ্দিক ও আব্দুল গাফ্ফার নাবালক থাকায় তাদের পক্ষে তাদের গর্ভধারিনী মাতা সাহেরা খাতুন অভিভাবক নিযুক্তীর মামলা নিমিত্তে দায়েরকৃত পারিবারিক মো. নং-৭/৮৮ মূলে অভিভাবক নিযুক্ত হয়ে এবং বিক্রয়ের অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে নাবালকদ্বয়ের পক্ষে ও স্বয়ং সাহেরা খাতুন এবং মো. মুসলিম মিয়া, মো. আসমত আলী, মো. মেহের আলী, তাজুমদ্দিন, আমিনা খাতুন মিলিতভাবে বিগত ২৮/০৯/১৯৮৮ ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রিকৃত সাফ কবলা দলিল নং-৩২৫৬ মূলে নালিশা দাগের বর্ণিত ৪৭ শতাংশ ভূমি মো. ছালামত উল্লাহ বরাবরে সাফ বিক্রয় করে এর দখলাদি বুঝিয়ে দিয়ে চিরতরে নিঃস্বত্ববান হয়। অতঃপর বর্ণিত মো. ছালামত উল্লাহ খরিদ সূত্রে তফছিল বর্ণিত দাগের ৪৭ শতাংশ ভূমিতে মালিক স্বত্বাধিকারী থাকাবস্থায় বিগত ১১/০৬/১৩ ইং তারিখে নামজারী জমাভাগ কেস নং- ১৮৫৯৭/১২-১৩ মূলে নিজ নামে নামজারী করে মালিক দখলকার নিয়ত হয়ে সরকারের খাজনাদি আদায় ক্রমে ভোগ দখল করে আসতে থাকাবস্থায় আমেরিকায় যাওয়ার আবশ্যকতা দেখা দিলে, বর্ণিত সম্পত্তি রেজিষ্ট্রিকৃত আম-মোক্তার নামা দলিল মূলে বর্ণিত আরএস. ১৯৯নং দাগের ২৬ শতাংশ ও আরএস-১৯৪নং দাগের ২১ শতাংশ সম্পত্তি সর্বমোট ৪৭ শতাংশ সম্পত্তি সম্পর্কে উম্মে আসমাকে আম-মোক্তার নিযুক্ত করেন।
নারায়ণগঞ্জ সিআইডির এসআই মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, উম্মে আসমার মামলার ঘটনার সাক্ষী ও প্রয়োজনীয় নথপত্র পর্যালোচনা করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বাদিপক্ষ ন্যা বিচার পাবে।