February 5, 2025, 4:52 am

নাটোরে বিড়ির ফ্যাক্টরি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

মাসুদ রানা নাটোর ফিরে :নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মসজিদের পাশে বিড়ির ফ্যাক্টরি স্থাপন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন স্থানীয় জামনগর গয়লার ঘোপ এলাকার গ্রামবাসী। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বাঘাতি পাড়া উপজেলা ইউএনও কার্যালয় চত্বরে এ মানববন্ধন করেন।

এ সময় উক্ত এলাকার গ্রামবাসীরা বলেন, কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রথমে উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের গয়লার ঘোপ গ্রামে একটি মাদ্রাসার পাশে মনোমহন বিড়ি ফ্যাক্টরি স্থাপনের চেষ্টা করে। উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করলে সেখান থেকে প্রশাসন তা সরিয়ে দেয়। পরে আবারও ওই ফ্যাক্টরিটি একই গ্রামে একটি বড় জুম্মা মসজিদের পাশে স্থাপন করা হচ্ছে। সেই মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশন পরিচালিত ৮০-৯০ জন শিশু নিয়ে একটি মক্তবের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাবলীগের মুসল্লিরা চিল্লা পালন করতে আসে ।
এছাড়া বিড়ি ফ্যাক্টরিটি স্থাপনে সাধারন মানুষের হাঁপানি, যক্ষা, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত উক্ত এলাকায় মিনি ফ্যাক্টরি স্থাপনের জন্য তিনজন লোক মৃত্যুবরণ করেছে । এবং খুব গ্যারান্টি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এসব কারনে বিড়ির ফ্যাক্টরিটি ওইস্থানে স্থাপন না করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি করেন এলাকাবাসী । মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গয়লার ঘোপ গ্রামের শহিদুল ইসলাম, সুলতানুল ইসলাম, সোহেল রানা প্রমুখ। শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর গ্রামবাসীদের সাক্ষরিত এক স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুলের হাতে হস্তান্তর করেন।
তবে এ বিষয়ে মনোমহন বিড়ি ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম সান্টু সাংবাদিকদের বলেন, বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতি নিয়ে ফ্যাক্টরিটি স্থাপন করা হচ্ছে। একই গ্রামে আরো তিনটি বিড়ির কারখানা রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ মনোমহন বিড়ি কারখানাটি স্থাপনে কিছু ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করছে।
এ বিষয়ে ইউএনও অনামিকা নজরুল বলেন, ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন বিষয়ে আমার কাছ থেকে তারা কোন অনুমতি নেয়নি।
আর ভূমির ব্যাপারে এসিল্যান্ড সাহেবের সাথে কথা বলেন। তবে স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে বিষয়বস্তু দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলার এসিল্যান্ড কে জানালে তিনি বলেন আমি কোন ধরনের অনুমতি দেইনি এবং এ বিষয়টা জানিও না। এবং তার কারো কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে এমন ধরনের কাগজও আমি পাইনি। আপনি ইউনো স্যারের সাথে কথা বলেন বলে ফোন কলটি কেটে দেন।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা