সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া মিতালী মার্কেটে অপ্রতিরুদ্ধ আবু সাঈদ শিপন ওরফে নালি শিপন। হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি শিপন আওয়ামী লীগের লেবাস পড়ে বীর দর্পে চাঁদাবাজি ও ভূমিসদস্যুতাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। ছদ্মবেশি ভয়ঙ্কর শিপন কট্টর পন্থি বিএনপি নেতা হয়েও আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে অপকর্ম করায় সাহেবপাড়া এলাকায় বিরাজ করছে ক্ষোভ চলছে তীব্র সমালোচনা।
বহু নিরীহ মানুষের জমি গ্রাস ও চোখে জল ঝড়িয়ে প্রতারণার স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মিতালী মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শিপনের অপকর্ম অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেড়িয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিদ্ধিরগঞ্জে দলীয় কোন পদপদবী না থাকলেও নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে চলা শিপনের গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার কালিয়াতলি দিঘিরপাড় এলাকাকায়। তবে তিনি বড় হয়েছেন তার নানার বাড়ি একই থানার পালপাড়া গ্রামে। তাই এলাকায় তিনি নালি শিপন হিসেবে পরিচিত। চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা হয়ে শুরু করেন অপকর্ম। ২০০৮ সালে লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ বাজারে মামা-ভাগিনা হত্যা মামলার ২ নং আসামী হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আতœগোপন করে যশোরে। কয়েক বছর সেখান থেকে শিপন চলে আসে সিদ্ধিরগঞ্জে। শুরু করেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকা-নোয়াখালীগামী একুশে পরিবহনে যাত্রী উঠানোর কাজ। এসময় তাকে বিএনপির বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণ ছিল লক্ষনীয়। এক পর্যায়ে পরিচিত হয় বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামী নুর হোসেনের সাথে। নূর হোসেনের কল্যাণে পরিচয় হয় সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে। সাত খুনের পর কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঢুকে পড়ে মিতালী মার্কেটে। সখ্যতা গড়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার সঙ্গে। এর পর থেকেই শিপন মিতালী মার্কেটে অধিপত্য বিস্তার করে। অওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচি ও মিটিং মিছিলে যোগদিয়ে বনে যায় বড় আওয়ামী লীগ নেতা। ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর সাহেবপাড়া এলাকায় একটি মারামারির ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় ৭ নম্বর আসামি করা হয় শিপনকে। একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর সাহেবপাড়া এলাকায় আহসান মিয়া নামের এক যুবককে রাস্তায় ফেলে মারধর ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় শিপনকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।
সম্প্রতি মিতালী মার্কেটে এক আইনজীবীর জমি বিক্রিতে বাধা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসে শিপন। একের পর এক তার বিতর্কিত কর্মকান্ডে ফঁসে উঠছে এলাকাবাসী। তার এসব সন্ত্রাসীমূলক কার্মকান্ডের বিষয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভূক্তভোগীরা।