সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড সাহেবপড়া মিতালী মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ শিপন। বিএনপি নেতা হয়েও দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিভিন্ন অপকর্ম করছে বীরদর্পে। এক শিপন দুই রূপ ধারণ করে ভূমিদস্যুতাসহ নানা অপকর্ম করায় সাহেবপাড়া এলাকায় চলছে ব্যপক সমালোচনা।
জানা গেছে, শিপনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। নিজ এলাকায় তিনি বিএনপির একজন দাপটি নেতা। লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে জোড়া হত্যা মামলার আসামি শিপন সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া এলাকায় এসে বনে গেছেন দাপটি আওয়ামী লীগ নেতা। সবসময় তিনি অবস্থান নেন দলীয় কর্মসূচির আগে। স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার পশ্রয়ে শিপন মিতালী মাকের্ট দোকান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ লাভ করেন। এক দিকে সমিতির নেতা অপর দিকে গায়ে আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে শিপন হয়ে পড়েছে বেপরোয়া। ভূমিসদ্যুতা থেকে শুরু করে মিতালী মার্কেট এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করছেন দাপটের সাথে। দলীয় কোন পদপদবী না থাকলেও শিপনের দাপটের কোন কমতি নেই। তার দাপটে পদধারী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাও কোনঠাসা। আবার মাঝে মাঝে তার জন্মস্থান নোয়াখালীতে গিয়ে পালন করেন বিএনপির কর্মসূচি।
মিতালী মার্কেটে মো: তারেখ হোসেন খান রাসেল নামে একজন আইনজীবীর ৪৬ শতাংশ জিমি গ্রাস করার মিশন সফল করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শিপন। জমির মালিকানায় কোন সমস্যা না থাকায় ওই আইনজীবীকে বিপাকে ফেলতে অভিনব কৌশল গ্রহণ করেছেন তিনি। মিতালী মার্কেট দোকান মালিক সমিতির অন্যান্য নেতাদের হাত করে রাস্তা না দেওয়ার ফঁন্দি করে। তার এসব কৌশলকে আমলে না নিয়ে জমির মালিক রাসেল ন্যায্যমূলে তার জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে শিপন। ফলে গত বুধবার সকালে ক্রেতারা ওই জমিতে বায়নাসূত্রে মালিকানা সাইনবোর্ড লাগাতে চাইলে শিপন বাধা দেয়। তাকে জিজ্ঞাসা না করে কেন জমি কিনেছে এজন্য ক্রেতাদের সাথে অসদাচরণ করেন। তার এমন অযৌক্তিক কর্মকান্ডে মিতালী মার্কেট এলাকায় হাস্যকৌতুকের সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জমির মালিক রাসেলকে জিম্মি দশায় ফেলে নামে মাত্র মূল্যে জমিটি কিনে নিতে চেয়েছিল শিপন ও তার সহযোগীরা। কিন্তু জমির মালিক একজন আইনজীবী হওয়ায় তাদের ফাঁদকে পাত্তা দেননি। তিনি তার জমি ন্যায্য মূলে বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই ফুঁসে উঠেছে শিপনসহ মিতালী মার্কেটের অপকর্মের হোতারা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সাইনবোর্ড লাগাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে শিপন বলেন, রাসেলের জমির চার পাশে মিতালী মার্কেটের জায়গা। সামনের রাস্তাও করেছি আমরা মিতালী মার্কেটের লোকজন। আমাদের কাছে জমি বিক্রি না করে রাসেল অন্য লোকের কাছে জমি বিক্রি করেছে। যারা জমি কিনেছে তারা কোন দিক দিয়ে যাবে এটা তাদের ব্যাপার। আমরা আমাদের রাস্তা ব্যবহার করতে দিবনা।
জমির মালিক তারেখ হোসেন খান রাসেল বলেন, আমার জমির চার পাশে মিতালী মার্কেটের জায়গা। তাই তাদের সাথে বহু দেনদরবার করেছি হয় আমাকে রাস্তা দেন, নয়ত জমি আপনারা কিনে নেন। কিন্তু তারা রাস্তা দিবেনা। তবে জমি কিনে নিতে চাইলেও বাজার দরের চেয়ে আর্ধেকের কম দাম বলে। আমাকে জিম্মি করে আমার জমি নামে মাত্র দামে কিনে নেওয়ার ফন্দি করে তারা। তাই আমি যার কাছে ন্যায্য দাম পেয়েছি তার কাছে বিক্রি করেছি। এটা দোষের কিছু না। আমার জমিতে আমি কাছ করবো, সাইনবোর্ড লাগালে তাদের গা জ্বলার কারণ নেই।
জমির একাধিক ক্রেতাদের মধ্যে উমর ফারুক বলেন, আমরা জমির মালিকানা কাগজপত্র দেখেই কিনেছি। জমিতে কোন ভেজাল নেই। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যেভাবে রাস্তা হয়। সেভাবে আশপাশের জমির মালিকদের সাথে অলোচনা ও সমন্বয় করে নিব। তবে অন্যায় মেনে নেবনা।