ডেমরা (ঢাকা) প্রতিনিধি ঃরাজধানীর ডেমরায় সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা ও বেধরড়ক মারধরের ঘটনার মামলায় গ্রেফতার ৫ সন্ত্রাসীকে মঙ্গলবার বিকালে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সংবাদ সংগ্রহের ভিডিও ধারনকালে সোমবার বিকালে ডিএসসিসির ৬৪ নং ওয়ার্ডের ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পে ওই সন্ত্রাসীরা ৫ জন সাংবাদিকের ওপর এ হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় খবর পেয়ে ডেমরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের উদ্ধারসহ ওই ৫ সন্ত্রাসীকে আটক করেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই মো. মাকসুদুল আলম নামে দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশ পত্রিকার এক সাংবাদিক অভিযুক্ত ৮ জনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৫ জনকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন— মো. জাহিদুল সরকার (৩৮), মো. সোহেল (৩৮), ফরিদ আহম্মেদ (৪০), মো. কামাল হোসেন (৫০) ও মো. সেলিম রেজা (৩১)। এ ঘটনায় জড়িত ইমরান (৩৫), প্লাবন (৪০) ও সবুজ (৩৩) সহ অজ্ঞাত ২/৩ জন পলাতক রয়েছেন। এদিকে সাংবাদিকদের মারধরের এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠেছে এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পের রাজন মিয়ার বাড়ির দক্ষিন পাশে রাস্তার উপর রাজউকের ইমারত আইন না মেনে ভবন নির্মাণের স্বচিত্র তথ্য অনুসন্ধানের কাজ করছিলেন আওয়ার বাংলাদেশ পত্রিকার বাদীসহ ৫ জন সাংবাদিক। অফিসিয়াল এ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মো. শরিফুল ইসলাম (৩৩) নামে এক সাংবাদিককে সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে থাকা লাঠি সাঠো, লোহার রড ও বাঁশ দিয়া এলোপাতারীভাবে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় বাদীর হাতে থাকা প্যানাসনিক পিভি ১০০ ক্যামেরা ও ক্যামেরার ষ্ট্যান্ড ভাঙ্গাসহ একটি ব্লুটুথ চুরি করে অনুমান দুই লক্ষ ৬ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে তারা। এ ঘটনায় ডাকচিৎকার শুনে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করার সময় ওই ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
ওসি মো. জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক মো. শরিফুল ইসলামকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পলাতকদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।