পুঠিয়ায় অনুমোদন ছাড়াই স্কুলের গাছ কাটলো প্রধান শিক্ষক!
রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার শুকদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি তিনটি গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে স্কুলের ভেতরে। আর এর নেতৃত্ব দিয়েছেন স্কুটি প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক নিজেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক মেহগনির বড় বড় ৩টি গাছ কেটে, সেই গাছের টুকরো গুলো স্কুলের মধ্যে ফেলে রেখেছেন। পরিবেশের ক্ষতি করে এভাবে স্কুলের গাছ কাটার ফলে স্থানীয় এলাকাবাসীদের মাঝে ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। আর প্রধান শিক্ষকের এমন কাণ্ডে হতভাগ সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক দাবি করছেন গাছ কাটার ব্যাপারে দরখাস্ত দিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর যদিও, এবিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান। অন্যদিকে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় গোটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষক টিপু সুলতান দাবী করছেন, গাছ কেটে ওই দিক দিয়ে স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করা হবে। পাশাপাশি গাছের ডালপালা বিক্রি করে দেওয়া হবে কাজের লোকের মজুরি। এসব বিষয়ে স্কুলটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক কেউই মানেননি আইনের নিয়ম কানুন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শুকদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, স্কুলের ঐদিক দিয়ে প্রাচীর তৈরি করা হবে বলে গাছ কাটা হয়েছে আর এসব বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা বরাবর দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। লিখিত বা মৌখিক অনুমোদন এখনো কেউ দেয়নি।
আরো জানতে যোগাযোগ করা হলে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, গাছ বিক্রি করে আমরা খাইনি। কাজ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেওয়া হবে। আর গাছের ডালপালা বিক্রি করে কাজের লোকের টাকা দেওয়া হবে। কেন অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটা হলো এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনারা পরে একসময় দেখা কইরেন।
ওই সব বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান তিনি বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে আমার কাছে দরখাস্ত দিয়েছিল কিন্তু আমি অনুমোদন দেইনি আর আমি এ বিষয়ে অনুমোদন দিতে পারি না। সেই ক্ষমতা আমার নাই। যদি এভাবে গাছ কেটেই থাকে তাহলে খুবই অন্যায় কাজ করেছে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।