শাহ কামাল সবুজ: সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল প্রকল্প বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। বর্তমানে এই হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নীত করণের কাজ চলছে। যার দ্বায়িত্বে আছেন হাসপাতাল প্রকল্প পরিচালক, শরীফ এম,ডি ফরহাদ হোসেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদ চারটি লটে একশো ছয় কোটি সাতাশি লক্ষ আট হাজার টাকার দরপত্র আহবান করা হয়। উক্ত দরপত্র গত ২০/১১/২০২৩ ইং তারিখ উন্মুক্ত করা হয়। যাতে Anifco Health Care – ২ টি, New Vision Medisystem -১টি এবং Medi Square Limited-১টি তে সর্বনিম্ন দরদাতা বিবেচিত হয়। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে দীর্ঘ সময় কালক্ষেপণ করেন। পরবর্তীতে জরুরী প্রকল্পটির গতিরোধ করার জন্য উক্ত দরপত্র ৩টি আবার পুনঃদরপত্র আহবান করেন এবং তার আশীর্বাদপুষ্ট ঠিকাদার মেডিকেট কর্পোরেশনকে (সর্বোচ্চ দর দাতা হওয়া সত্ত্বেও) স্থগিতকৃত কাজটি পাইয়ে দেয়ার গোপন পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, মেডিকেট কর্পোরেশনকে ইতিপূর্বে যে কার্যাদেশের ভিত্তিতে যোগ্য দেখিয়ে প্রায় আটত্রিশ কোটি টাকার কাজটি দেয়া হয়েছে সেই কার্যাদেশটিও শতভাগ ভুয়া বলে প্রতীয়মান হয়েছে। যা বিভাগীয় তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে।
বর্তমানে সরকারের এ অগ্রাধিকার প্রকল্প নিয়ে এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য সংশ্লিষ্ট মহল মেডিকেট কর্পোরেশন এবং হাসপাতাল প্রকল্প পরিচালক শরীফ এম,ডি ফরহাদ হোসেনের গোপন আঁতাতকে দায়ী করছেন। তারা আশংকা প্রকাশ করেন সরকারের একটা ভালো কাজ যেন তেন প্রকারে সমাপ্ত হবে ফলে কিছুদিন যেতে না যেতেই বড় ধরনের কোনো বিপদ ঘটতে পারে। এবং বেহুদা সরকারের কোটি কোটি টাকা প্রকল্প লুটপাটের ভাগবাটোয়ারায় পরিনত হবে। এ ব্যাপারে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এলাকার সচেতন মহল। তারা বলেছেন এমন জনহিতকর কাজে কোনো স্বজন প্রীতি নয়। যারা এসব কাজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ এবং এ কাজে যাদের দীর্ঘ সুনাম রয়েছে তাদের দিয়ে এ কাজটি করানো উচিৎ। যাতে করে সরকারের জনহিতকর এসব কাজের দীর্ঘমেয়াদী সুফল দেশ ও জনগন ভোগ করতে পারেন।