শামীম আখতার মুকুলের পাঠানো তথ্য ও ভিডিও চিত্রে বিস্তারিত: যশোরের কেশবপুরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পূর্ণ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ফেব্রুয়ারী) সকালে পৌরশহরের ত্রিমোহিনী মোড় সংলগ্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পূর্ণ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হিসেবে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মশিয়ার রহমান, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মশিউর রহমান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, মসজিদ হলো মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যান্ত প্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ পবিত্র স্থান। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত রয়েছে মসজিদ মূলত আল্লাহর ঘর এবং আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম জায়গা হলো মসজিদ। যার কারণে মসজিদের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর হৃদয় ও আত্মার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার কাজে দান-সাহায্য করা মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত আনন্দ, গৌরব ও সওয়াবের বিষয়। পৃথিবীতে লাখো-লাখো দৃষ্টিনন্দন মসজিদ গড়ে উঠেছে মুসলিমদের স্বতঃস্ফূর্ত দানকৃত অর্থ-সম্পদে। তারই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মানের মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন করে যাচ্ছেন। যশোর-কেশবপুরের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা শাহীন চাকলাদার এঁর সার্বিক সহযোগিতায় এ উপজেলায় একটি অত্যাধুনিক মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
ইতিমধ্যে কেশবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি পূর্ণ নির্মাণ এবং দৃষ্টিনন্দনভাবে মসজিদ গড়ে তোলার লক্ষে পৌরসভার পক্ষ থেকে ১০’লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে এবং নির্মাণ কাজ শেষ করতে টাকায় কম পড়লে পুনরায় আরো টাকা দেওয়া হবে। কেশবপুর পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মাণের জন্য অধিক পরিমাণে ব্যায় হওয়ায় উপজেলার সকল মুসল্লীদের কাছে দান ও সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
উদ্বোধন শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে ও অত্র মসজিদের উন্নয়নের জন্য দোয়া মাহফিল এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন কেশবপুর বাহারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে কেশবপুর শহরের ত্রিমোহিনী মোড় সংলগ্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদ নির্মাণের পর থেকেই কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মুসল্লী এবং শহরের হাজার-হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা নামাজ আদায় করেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকার মুসল্লীরা নামাজ আদায় করেন। ইতিমধ্যে মসজিদের দ্বিতীয় তলা ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ভেঙে ফেলা হয় এবং পুনরায় নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেশবপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দীন, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, কেশবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা খলিলুর রহমান, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ও সাংবাদিক হাজী রুহুল কুদ্দুস মোড়ল, সদস্য আলহাজ্ব আবুল কালাম, আলহাজ্ব আক্তার হোসেন, আলহাজ্ব আহাম্মদ আলী, বিশিষ্ট ঠিকাদার আব্দুল আহাদ, আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান প্রমূখ। এছাড়াও মসজিদ কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ ও কেশবপুর পৌর শহরের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।