শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) কেশবপুরে স্বামীর সাথে বিবাহ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গোলমাল করে আছিয়া হরফে মনিরা খাতুন (২২) নামের এক নারী টয়লেটে ব্যবহার করা হারপিক পান করে অসুস্থতার ২ মাস পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা মোঃ মতিয়ার রহমান (৫৯) বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে।
থানার অপমৃত্যু মামলা সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমান (৫৯) এর মেয়ে আছিয়া হরফে মনিরা খাতুন (২২) সহিত মনিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমান মোড়ল ছেলে সুজন মাহমুদ (৩৫) সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে মেয়ে বাপের বাড়িতে থাকতো। মেয়ে ও জামাইয়ের বিবাহ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গোলমাল সৃষ্টি হওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে পরিবারের সকল সদস্যদের অগোচরে ব্যবহারের জন্য টয়লেটে রাখা হারপিক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মেয়ের পরিবারের লোকজন জানতে পেরে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতাল কতৃপক্ষ মেয়ের শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। দীর্ঘদিন ধরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটির শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হওয়ায় ২৯ নভেম্বর সকালে হাসপাতাল কতৃপক্ষ মেয়েটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন ঢাকায় না নিয়ে গিয়ে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) পুনরায় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গত ২৯ নভেম্বর আনুমানিক রাত ১১:৫৭ মিনিটে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যু ঘটে। ওই রাতেই পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মেয়েটির লাশ বাড়িতে নিয়ে যাই। থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।
হারপিক পান করে মৃত্যুর বিষয়ে মেয়ের পিতা মোঃ মতিয়ার রহমান এঁর মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা বলার আমি পরে বলবো।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।