April 26, 2024, 8:14 am

কেশবপুর থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

শামীম আখতার বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরের কেশবপুরে ‘‘দক্ষ পুলিশ সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুপুরে থানা প্রাঙ্গণে উপজেলার সর্বস্তরের প্রায় ৩’হাজার জনগণের উপস্থিতিতে ওই ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন।

যশোর জেলার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) জুয়েল ইমরান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম(বার),পিপিএম।

অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার বক্তব্যের শুরুতেই এলাকার সর্বসাধারণকে কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কিনা, আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ আছে কিনা, কাউকে অযথা পুলিশ হয়রানির শিকার হতে হয় কিনা, মাদক, চাঁদাবাজ, দুষ্কৃতকারীদের উৎপাত আছে কিনা ও এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উপস্থিত সর্বসাধারণের সাথে মুক্ত-আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণের মতামত এবং তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরলে পুলিশ সুপার অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শোনেন ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে বলেন, যশোর জেলা পুলিশ জনগণের জানমালের রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশিং সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই ওপেন হাউস ডে। থানা এখন আর জনগণের হয়রানির স্থল নয়, বর্তমান থানা হয়েছে ভুক্তভোগির প্রথম ভরসাস্থল। আগের পুলিশ আর বর্তমান পুলিশ অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পুলিশের সেবার মান অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক গুন ভালো। পুলিশ জনতা এখন একত্রে কাজ করে। পুলিশকে এখন কেউ ভয়ের চোখে দেখেনা, পুলিশ এখন সত্যিকার অর্থেই জনগণের পুলিশে রুপান্তরিত হয়েছে। এখন কোন ভাবেই থানায় আগত ব্যক্তির সাথে অসৎ বা খারাপ আচরণ করার সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, কেশবপুর হবে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও চাঁদাবাজমুক্ত। এখানকার মানুষ আগামীতে শান্তিতে, নিরাপদের সাথে পারস্পারিক সম্প্রীতি রেখে বসবাস করবে। জেলা পুলিশ সার্বিক আইন-শঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বদা তৎপর রয়েছে। কোন প্রকার নৈরাজ্য বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে, অপরাধী যেই হোক না কেন বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবেনা। একই সাথে মাদক কিংবা চাঁদাবাজির সাথে আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত কোন সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।
আইনের চোখে অপরাধীদের সাথে পুলিশের কোন সখ্যতা থাকতে পারেনা। যশোর পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যশোর জেলায় কোন সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্রের গডফার থাকবে না, বিশেষ করে মাদকের সাথে জড়িত কাউকে বিন্দু মাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা। সে যত বড়ই ক্ষমতাশীল ব্যক্তি হোক না কেন। জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে যতটা কঠোর হতে হয় তার সম্পূর্ণটাই প্রয়োগ করবে জেলা পুলিশ। সুতরাং ভালো হওয়ার কোন বিকল্প নেই। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিংবা সমগ্র জেলার কোথাও ইভটিজিং থাকবেনা। এর কোন ব্যক্তই হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পরিশেষে তিনি বলেন জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও জনতা হাতে-হাত রেখে একত্রে কাজ করে যাওয়ার আহবান করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) আশেক সুজা মামুন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন, পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এইচ এম আমীর হোসেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেশবপুর উপজেলা সভাপতি শ্রী শ্যামল সরকার, কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ এ টি এম বদরুজ্জামান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক চম্পা, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আশরাফ-উজ-জামান।

অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়, দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজ, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ সহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার জন-প্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারি, বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীবৃন্দ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, জুয়েলারী, বনিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিগণ, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ, ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ সহ থানা এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা