April 26, 2024, 11:38 pm

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক এঁর আজ ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী

শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) আজ ৯ সেপ্টেম্বর। যশোরের কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামের কৃতি সন্তান সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এ এস এইচ কে সাদেক এঁর ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৩৪ সালের ৩০ এপ্রিল কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে এই গুনী ও কীর্তি সন্তানের জন্ম হয়। তার পিতার নাম ইয়াহিয়া সাদেক (যুগ্ম কমিশনার), মাতা আসগারুন্নিসা সাদেক। ৭ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সাদেক ছিলেন ৩য়। তিনি ১৯৫৬ সালে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সি.এস.পি) ক্যাডারে যোগদান করেন। ১৯৫৯-৬১ পর্যন্ত মহাকুমা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬-৬৭ সালে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও ১৯৬৯-৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান গর্ভনরের সচিব হন, তিনি প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমদের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি স্বাধীনতার সময় মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় সহযোগীতাসহ দেশে, বিদেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি দেশের জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৮৮ সালের ২৫ মার্চ স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার প্রয়সে ১৯৯২ সালে বঙ্গবন্ধু আদর্শের রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মনোনিত হন। সল্প সময়ের ব্যবধানে দলীয় রাজনীতিতে অগ্রণী ভূমিকায় মুগ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে যশোর-৬ জাতীয়-৯০ কেশবপুর আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেন এবং তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এ আসন থেকে জয় লাভ করেন। ৯৬ সালের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রচেষ্টায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তার সময়ে কেশবপুরে সড়ক, অবকাঠামো, স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের অভাবনীয় উন্নয়নের কারণে তাকে কেশবপুরের উন্নয়নের কারিগর বলা হয়ে থাকে। ২০০৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৭৩ বছর বয়সে কেশবপুরস্থ বাসভবনে সকাল ৭ টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মরহুম সাদেক ও ইসমাত আরা সাদেক ব্যক্তিগত জীবনে দু’টি সন্তানের জনক-জননী। পুত্র তানভীর সাদেক (কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার), মেয়ে নওরীন সাদেক (স্থপতি)।
এমন নেতার ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কিনা সে বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবেক সফল শিক্ষামন্ত্রী ও কেশবপুরের উন্নয়নের রুপকার এ এস এইচ কে সাদেক এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ৯ আগষ্ট (শুক্রবার) বিকাল ৪ ঘটিকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা