নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড (শিমরাইল) এলাকায় অভিযান চালিয়ে আড়াইহাজারের মাদ্রাসার ছাত্র মাহাবুব হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ সৈকত (২৩)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)। গ্রেপ্তারকৃত মো. সৈকত আড়াইহাজারের সেন্দীপাড়া এলাকার মোঃ বিল্লালের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় র্যাব-১১’র মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এর আগে একই দিনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, চলতি বছরের ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে বস্ত্রহীন অবস্থায় মাহবুবের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মাহাবুব ওই গ্রামের আশকর আলীর ছেলে। নিহত মাহবুব বন্দর কওমী মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতেন। মাহাবুব কয়েকজন খারাপ ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করলে তার বড় ভাই আবু হানিফ শাসন করেন। পরে মাহাবুব রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যায়। রাত ১২টার দিকে মাহবুবকে বস্ত্রহীন মৃত অবস্থায় সেন্দী ধান ক্ষেতে পাওয়া যায়। আদালতে আসামিরা স্বীকার করে যে, তাস খেলা নিয়ে সেদিন রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেই দ্বন্দ্বেই মাহাবুবকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রাখে সৈকত, শামীম ও কাউসার। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই আবু হানিফ বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব আরো জানায়, চলতি বছরের ৩১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম এরশাদুল আলম আসামী মোঃ সৈকত, মোঃ কাউছার ও শামীমকে মাহাবুব হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। উক্ত আসামিদের মধ্যে মোঃ কাউছার জেল হাজতে আটক রয়েছে। অপর দুই আসামি মো. সৈকত ও শামীম দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকে। এদের মধ্যে মোঃ সৈকতকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামি শামীমকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-১১’র একটি গোয়েন্দা দল নজরদারী অব্যাহত রেখেছে। ##