নারায়ণগঞ্জ রিপোর্ট :নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অটোরিকশা চুরির ঘটনায় নৈশ প্রহরীকে নির্যাতনের পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২০ অক্টোবর) ভোরে নিহত নাইটগার্ড সিরাজুল ইসলাম (৬৫) লাশ গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নাইটগার্ড সিরাজুল মুছাপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা মুছাপুর ইউপির জহরপুর এলাকার আক্তার হোসেনের মালিকানাধীন অটোরিকশা গ্যারেজে নাইটগার্ড হিসাবে কাজ করতেন পাশ্ববর্তী মুছাপুর গ্রামের বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার রাতে কৌশলে গ্যারেজ থেকে ৬টি অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র। এ ঘটনার জের ধরে নাইটগার্ড সিরাজকে গত তিনদিন যাবত গ্যারেজে আটক করে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালায় গ্যারেজ মালিক আক্তার, তার ছেলে অর্ণপ, মহিন, রাজু ও ৬ অটোরিকশা চালক। নির্যাতনের পর শনিবার রাত আড়াইটার দিকে নাইটগার্ড সিরাজুল ইসলামের মৃত্য হয়। এ খবর পেয়ে রোববার সকালে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন।
নিহতের ছেলে ইউসুফ ও মেয়ে শিল্পি জানান, চুরির ঘটনার পর শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও গ্যারেজ মালিক আক্তার ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জু মেম্বার বিচারের কথা বলে বাবাকে গ্যারেজে আটকে রাখে। পরে নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে। শনিবার রাত আড়াই টার দিকে বাবা আমাদের সঙ্গে কথা বলবে বলে আক্তার বাড়িতে খবর পাঠায়। পরে উপস্থিত হয়ে দেখি বাবার লাশ গ্যারেজের ভেতরে পড়ে আছে। পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার কারণে আমার বাবাকে তারা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাব্বির রহমান বলেন, নাইটগার্ড বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।