September 10, 2024, 2:05 pm

এসিলেন্ট অফিসের পিয়ন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক সহ রয়েছে চার স্ত্রী।

,নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জে এসিলেন্ট অফিসের পিয়নের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি সহ রয়েছে চার স্ত্রী। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) হাতে ঘুষ সহকারে হাতেনাতে আটক হওয়া সহকারী ভূমি কর্মকর্তা চাচা সুলতান আহমেদের হাত ধরে সাধারণ ঘর থেকে উঠে আসা ১৯৯০ সালের দিকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি হিসাবে চাকুরিতে যোগদান করেন বাবুল আহমেদ ।চাকরির যোগ দান কালে ৮ শত পঞ্চম টাকা বেতন স্কেলে চাকরি শুরু করেন। চাকরি কালিন সময়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন ।

জানা যায় নুন আনতে ফান্তা ফুরাতো যার ঘরে সেই বাবুল। চাকুরীতে যোগদানের পর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অবৈধ ভাবে গড়া অর্থের গরমে সম্পদের পাশাপাশি করেন চারটি বিয়ে। কোন রকম পরিবার থেকে উঠে আসা বাবুল গড়ে তোলেন কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নামে বেনামে একাধিক বাড়ি।

গড়েছেন সম্পদের পাহাড়, একজন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের চতুর্থ শ্রেনীর গল্পটা শুনলে মনে হবেনা, যে তিনি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। দালান কোঠা অট্টালিকা দেখে মনে হবে তিনি এ দেশের একজন শিল্পপতি।

এতক্ষণ যে বিষয়গুলো বললাম, যার বিষয়ে বললাম আসুন তার পরিচয় তুলে ধরি। ওনার নাম বাবুল আহমেদ বাড়ি বরিশালের বাকের গঞ্জে। গরিব ঘরের সন্তান বাবুল, একসময় তার পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা ছিল। সোনার হরিন সরকারী পাওয়ার পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তার। গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পদের পাহার । তিনি বর্তমানে (বাবুল আহমেদ) নারায়ণগঞ্জ খানপুর ফতুল্লা এসিল্যান্ড অফিসে জারি কারক প্রছেস সার্বেয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।

ঢাকা জেলার ডেমরা থানার মাতুয়াইল হাজী বাদশা মিয়া রোডে ৪ কাঠার উপর ৬ তলা ফাউন্ডেশনের তিন তলা কমপ্লিট যেখানে সপরিবার নিয়ে বসবাস করছেন বাবুল আহমেদ।সেটির আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকা।

শিবু মার্কেট কাঁচা বাজার বড় মসজিদ সংলগ্ন একটি চার কাঠার উপর টিস সেট পাকা বাড়ি যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা ।

দেলপাড়া বাজার সংলগ্ন চারকাটার একটি প্লট যার আনুমানিক মূল্য দের কোটি টাকা ।

গাজীপুর সালনায় আটকাঠার একটি প্লট যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি টাকা

। নেত্রকোনা জেলার মনোহরগঞ্জ থানা সোহাইর গ্রামে তৃতীয় স্ত্রী লিলুফা বেগমের নামে ১০০ বিগা সম্পত্তি রয়েছে যার আনুমানিক বাজার ১০ কোটি টাকা।

রুপগঞ্জের রুপসি মইকুলি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গলির ভিতর দশ কাঠার একটি প্লট যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি টাকা।

রয়েছে ঠিকাদারী লাইসেন্স সেই ব্যবসা পরিচালনা করা হয় তৃতীয় স্ত্রীর ভাইকে দিয়ে। বরিশালের বাকেরগঞ্জে করেছেন অনেক সম্পত্তি সহ নামে বে নামে করেছেন অনেক সম্পত্তি সহ ব্যাংক ব্যালেন্স যা খতিয়ে দেখলে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য।

নেত্রকোনার মনোহরগঞ্জে তৃতীয় স্ত্রীর বাবার এলাকায় বাবুল আহমেদকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে জানে শ্বশুরবাড়ির এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে বাবুল আহমেদের সম্পত্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন রূপগঞ্জের রূপসী, গাজীপুরের শালনা, শিবু মার্কেট সহ যেসব সম্পদের কথা বলেছেন সবগুলো আমি বিক্রি করে দিয়েছি বর্তমানে ডেমরা মাতুয়াইল হাজি বাদশা মিয়া রোডের বাড়িটি ছাড়া আমার এখন আর কোন বাড়ি বা প্লট কিছু নেই।

আরো আসছে আগামীর সংখ্যায়।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা