শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরের কেশবপুরে শেখ সোহেল (৩২) নামের এক নারী লোভী ও দুশ্চরিত্রহীন কর্তৃক ৫ বছরের শিশুকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বসতবাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। গত রবিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কালিয়ারই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা উল্লেখ করে ওই শিশুর পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। তবে, ঘটনার পর থেকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী এলাকা ছেড়ে গাঢাকা দিয়েছে।
থানার মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালিয়ারই গ্রামের শেখ আব্দুস সবুর এর ছেলে নারীলোভী ও দুশ্চরিত্রহীন শেখ সোহেল গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে পার্শ্ববর্তী ৫ বছরের শিশু কন্যাকে চকলেট ও খাবার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বসত ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানেই তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে শিশু কন্যার পরনের হাফপ্যান্ট খুলে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। ওইসময় শিশুটির ডাক-চিৎকারে দাদী শাহানাজ বেগমসহ এলাকাবাসী শেখ সোহেল এর বসতবাড়ির দিকে এগিয়ে গেলে শিশুটিকে ছেড়ে দিয়ে সে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে নানা গুঞ্জন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শিশু ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত শেখ সোহেল এর বসতবাড়ির ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। এলাকাবাসী অনেকেই বললেন ঘটনার পর থেকে সে এলাকা ছেড়ে গাঢাকা দিয়েছে।
এলাকাবাসী রুস্তম আলী শেখ বলেন, শিশুর ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি খুবই জঘন্য ও নেক্কারজনক। প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সঠিক বিচারের দাবী করছি।
ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়ে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি আমাকে মিমাংসা করার জন্য বলেছে, কিন্তু বিষয়টা মিমাংসা করার ক্ষমতা আমার নেই। এই দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, শিশু ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।