March 19, 2024, 5:41 am

ভুয়া ডাক্তাররের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ৪ সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার, অপরাধীদের পক্ষে নিয়ে সাংবাদিকদের তিরস্কার করায় ডেমরা থানার ওসির বিরুদ্ধে মানববন্ধন। ।

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান  ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার রিপোর্টার হৃদয় ইসলাম চুন্নুসহ ৪ সাংবাদিক উপর ভুয়া ডাক্তার মোঃ কামরুজ্জামান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ৪ টায়  পূর্ব বক্সনগর দারুন নাজাত মাদ্রাসা সংলগ্ন ৬৭নং ওয়ার্ড সারুলিয়া ডেমরা নাজাত মেডিকেল কমপ্লেক্স এন্ড  ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের নামে মামলা দেওয়ার হুমকি দেন ডেমরা থানার ওসি শফিকুর রহমান।

ডেমরা থানা এলাকার পুর্ববক্সনগরে দারুননাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার সামনে একটি ভুয়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টার স্থাপন করে কামরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি ডাক্তার পরিচয়ে বিএমডিসির ভুয়া রেজিস্ট্রেশন লাগিয়ে রোগী দেখার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন দীর্ঘদিন যাবত।

ডাক্তার সেজে দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত রোগীদের ব্যাবস্থাপত্র দিতেন তিনি।ডাক্তার না হওয়া স্বত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ ডাক্তার সেজে সাধারণ জনগনের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। সে বিএমডিসির একটি ভুয়া রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে যার নম্বর-১৪৪১৭ । ওই রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সার্চ দিলে দেখা যায় তা এস এম আফতাব- ই আলমের।ডেমরা থানার ওসি শফিকুর রহমানকে প্রতি মাসে মোটা অংকের মাশোহারা দিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছিলেন বলেও জানা গেছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মো. কামরুজামান এমবিবিএস পাস না করে দীর্ঘদিন যাবত সহজ সরল সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।

সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ৪ সাংবাদিক হলেন,বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘বাংলা টিভি’ ক্যামেরাপারসন মোঃ সারোয়ার হোসেন জীবন,

দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার রিপোর্টার হৃদয় ইসলাম চুন্নু, আল-আমিন, ও সোহেল।

ভুয়া ডাক্তার কামরুজ্জামান ও তার পালিত সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়, সাংবাদিকদের বহনকারী একটি প্রাইভেট কারভাঙচুর করে, এবং হৃদয় ইসলামের পকেটে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় আহত সাংবাদিকরা ডেমরা থানায় ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উল্টো দুই সাংবাদিককে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় এবং পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমের ১৫-২০ জন সাংবাদিক থানায় গিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।

শুধু এটাই নয় এর আগে ও, ওসি শফিকুর রহমান একাধিক সাংবাদিক দের সাথে এমস আচরণ করেছেন। দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ক্রাইম রিপোর্টার ঢাকা ডিভিশনের হৃদয় ইসলামের উপর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ।

১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় পূর্ব বক্সনগর দারুন নাজাত মাদ্রাসা সংলগ্ন ৭৬নং ওয়ার্ড সারুলিয়া ডেমরা ঢাকা,নাজাত মেডিকেল কমপ্লেক্স এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ডাক্তার মোঃ কামরুজ্জামান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হৃদয় ইসলাম চুন্নুর উপর দেশি অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন । এতে গুরুতর আহত হন। সাংবাদিকের ডাক চিৎকার করিলে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। ভুক্তভোগীর সাংবাদিক রা জানান ডা.মো. কামরুজামান এমবিবিএস পাস না করে দীর্ঘদিন যাবত সরল সোজা সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালান। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থা রয়েছে।

অপরাধীদের পক্ষে নিয়ে সাংবাদিকদের তিরস্কার করেন ডেমরা থানার ওসি শফিকুর রহমান শুধু এটাই নয় এর আগে একাধিক সাংবাদিক দের সাথে এমন আচরণ করেছেন তিনি । এর আগে ৪ জানুয়ারি ২০২২ সালে ডেমরার মিরপাড়ায় আবাসিক হোটেলের নামে দেহ ব্যবসা সেই হোটেল থেকে Rab l০ অভিযান চালিয়ে পতিতা ও খদ্দের হোটেল স্টাফ সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে এর পর কিছু বন্ধ থাকার পর বর্তমান ডেমরা থানার ওসি শফিকুর রহমান আসার পর হোটেল নামের পতিতালয়টি টি পুনোরায় চালু হয়।সে পতিতালয়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হোটেলের ভবন টির চিত্র ধারন করার সময় সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় এবং টেনেহিঁচড়ে হোটেলের ভিতর নিয়ে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন চালায় এবং আটকে রাখে,সাংবাদিক দের একজন পুলিশকে ফোন দিলে পুলিশ পতিতালয়ের মালিক জয়ের পক্ষ নিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার প্রসতুতি নেয় এবং সাংবাদিকদের সাথে বাজে আচরন করে ওসি ডেমরা,পরে সাংবাদিকদের কাছ থেকে স্টাম্পে মোসলেথা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা । এবিষয়ে ওয়ারী জনের ডিসিকে ও এবিষয়ে জানানো হয়েছিল।

একজন সাংবাদিক পতিতালয় ভূযা ডাক্তারের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়।সেখানে সাংবাদিকরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে পুলিশ কে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উল্টো অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের হেনেস্তার শিকার হতে হয়। জাতি ডেমরা থানার ওসি শফিকুল ইসলামের মত পুলিশদের কাছে কি আসা করতে পারে?এরা নাকি দেশের সেবক। তবে ডেমরা থানার দুইশত গজের মধ্য হলেও এর আগে হোটেল ফেসইন আবাসিক এর ব্যপারে কথা হলে তিনি বলেন এব্যপারে আমার জানানেই।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা