শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরের মনিরামপুরে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বিধানচন্দ্র রায় (৫৫) নামের এক আইনজীবীর নিহত এবং একই পরিবারের চারজনসহ ৫জন মারাত্মক আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-চুকনগর মহাসড়কের ফকিররাস্তা ছাতিয়ানতলা নামকস্থানে ওই মারাত্মক দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত আইনজীবী বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনোরঞ্জন রায়ের ছেলে। একই পরিবারের ৪জন হলেন খুলনার সোনাডাঙ্গার শেখপাড়া এলাকার এম এন জোয়ারদার (৫৬), হোসনেয়ারা (৫৪), জলি জোয়াদ্দার (৫০), শওকত আরা (৪২)। এছাড়াও মাইক্রোবাসের চালক লিটন হোসেন (৪৫) আহত হয়েছে। তবে, সড়ক দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাকচালক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে আইনজীবীকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অন্যদের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার প্রণব কুমার বিশ্বাস বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত মামলার বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার সকালে আইনজীবীকে সাথে নিয়ে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে ঢাকা মেট্রো-চ-১১-৬৭২২ নম্বরের মাইক্রোবাসযোগে ৪ ভাইবোন চুকনগর-যশোর মহাসড়ক হয়ে ঝিনাইদহ যাচ্ছিলেন। মাইক্রোবাসটি মনিরামপুরের ছাতিয়ানতলা পৌঁছালে হঠাৎ চিনেটোলা ছেড়ে যাওয়া চুকনগরগামী যশোর মেট্রো-ট-১১-৫৭৮৫ নম্বর ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মারাত্মক সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছি।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তন্ময় বিশ্বাস বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত অবস্থায় ৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের মধ্যে বিধানচন্দ্র রায় নামে একজনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আহত অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদেরকে রেফার্ড করা হয়েছে।
এব্যাপারে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।