শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও মধুমেলা-২০২৩ উপলক্ষে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে মহাকবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি মধু মঞ্চে ওই বিশেষ আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান সভাপতিত্ব করেন।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শাহীন, সহকারি পুলিশ সুপার মনিরামপুর সার্কেল আশেক সুজা মামুন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ এস এম জিল্লুর রশীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু তপন কুমার ঘোষ মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোঃ আলমগীর, উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সজীব সাহা, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মফিজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজ, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এনামুল হাসান নাঈম, প্রচার সম্পাদক মোস্তফা কামাল, নিউজ ক্লাবের সভাপতি আশরাফুজ্জামান, কবি খুসরু পারভেজ সহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও মধুমেলা-২০২৩ উপলক্ষে
যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়িতে আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এই মধুমেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আগমন ঘটে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার-হাজার মধুপ্রেমীদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গন। সেজন্য মেলা প্রাঙ্গনে আইনশৃংখলা পরিস্থতি সমুন্নত এবং মধুমেলার মান অক্ষুন্ন রাখতে যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে
আইন শৃংখলা বিষয়ক সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, মধুমেলায় কোন প্রকার জুয়া, মাদক, সন্ত্রাস, নারী উত্ত্যক্তকরণ, অশ্লীলতা পরিহার করতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি গোটা মেলা ১’শত সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে পর্যাবেক্ষণ করা হবে।