সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাসাবাড়িতে গ্যাসের বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের মধ্যে গৃহবধূ আফরোজা আক্তার (৩৮) সোমবার রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় গোদনাইলের উত্তর ধনকুন্ডা এলাকার নাজমুল মিয়ার বাড়িতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধ অন্যরা হলেন- গৃহকর্তা মো. জসিম (৪৫), মেয়ে জয়া আক্তার (১৩) ও শিশু ছেলে জুনায়েদ (৭)। মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান।
ঘটনার শিকার জসিমের স্বজন ও পুলিশ জানায়, সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গৃহবধূ আফরোজা আক্তার রান্নাঘরে গিয়ে গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সময় ম্যাচের কাঠি জ¦ালাতেই রুমের ভেতরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ঘরের দরজা-জানালা ভেঙ্গে যায়। এতে দগ্ধ হন গৃহকর্তা মো. জসিম, স্ত্রী আফরোজা আক্তার, মেয়ে জয়া আক্তার ও শিশু ছেলে জুনায়েদ। পরে স্থানীয় লোকজন দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকার ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, রাতে ঘুমানোর আগে রান্নাঘরের গ্যাসের চুলোর চাবি খোলা ছিল। কিন্তু তখন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে গ্যাস আসার পর সারা রাত গ্যাস নির্গত হয়ে ঘরের ভেতর জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে চুলা জ্বালানোর জন্য আগুন ধরালেই ঘরের ভেতর জমাট বাঁধা গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙ্গে যায়। এ সময় স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান দগ্ধ হন।
তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে সোমবার রাতে গৃহবধূ আফরোজা আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরে ৯৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে স্বামী ও তাদের এক সন্তানের অবস্থাও গুরুত্বর। আরেক সন্তানের শরীর কিছুটা কম বার্ন হওয়া প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নিহত গৃহবধূর লাশ অনুমতি সাপেক্ষে বিনা ময়নাতদেন্তই দাফনের উদ্দেশ্যে স্বজনরা নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। #