রবিউল ইসলাম পুঠিয়া উপজেলা প্রতিনিধি: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নান্দিগ্রাম দারুস সালাম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসীরা। দীর্ঘ অনুসন্ধানে অধ্যক্ষ মুসা মিয়ার মামলাবাজির সত্যতাও মিলেছে।
একাধিক গ্রামবাসী অধ্যক্ষ মুসা মিয়ার নানান অপকর্মের কথা তুলে ধরে বলেন, নন্দীগ্রাম মাদ্রাসার কোন ব্যত্যয় দেখে কেউ প্রতিবাদ করলে বা মুখ খুললে তার ভাগ্যে জোটে মামলা। আর এভাবেই দমিয়ে রাখা হয়েছে পুরো গ্রামের যুব সমাজ থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত, বাদ যায়নি জনপ্রতিনিধি, এমনকি অধ্যক্ষ মুসা মিয়ার মামলা থেকে বাদ পড়েনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বহু শিক্ষক বলেন, অধ্যক্ষের কারণে মাদ্রাসায় কোন ছাত্র-ছাত্রী নেই। শিক্ষক কর্মচারীরা কিছু বললে তাদের বেতন আটকে দেওয়া হয়। পদোন্নতি সহ সকল কাজেই টাকা দিতে হয়। যারা টাকা দেয় তাদের কাজ হয়। আর যারা টাকা দেয় না তাদের কাজ আটকে থাকে। নিয়মিত মাদ্রাসায় আসেন না। কয়েকদিন পর পর এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। টাকা ছাড়া একটি নিয়োগও হয় না এসবের প্রমাণ চাইলে আমরা দিতে পারবো না। কারণ তার অধীনে আমরা চাকরি করি। এমনিতেই পান থেকে চুন খসলে খেতে হয় মামলা আবার বেতন বন্ধ হয়ে যায় বেতন। বহু বছর যাবত, অধ্যক্ষ পদে চাকরি নিয়ে, বেতন তুলতেন সুপার পদের।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহীদুল হক বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক কিছুই শুনেছি তিনি আপনাদের নয় কারো ফোন রিসিভ করেনা। আমরাও ফোন দিলে ধরে না। এমনকি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তাকে ফোন করা হলে তবুও তিনি ফোন ধরেন না।
স্হানীয় সাংসদ প্রফেসর ডাক্তার মনসুর রহমান বলেন, আপনারা যা শুনেছেন বা জেনেছেন তা সত্য ঘটনা। অধ্যক্ষ মুসা মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন লাভ হয়নি। বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রী নাই, এমনকি পড়াশুনার পরিবেশও নাই। ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল কারো কথা শোনে না। বর্তমান কমিটি নিয়েও সমালোচিত হয়েছেন সে। তার একটা ব্যবস্থা হওয়া দরকার। আমি উনাকে বার বার ডেকে পাঠানোর পরেও উনি আসেন না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার কথা শোনে না। নিয়োগ এক মাদ্রাসায় হওয়ার কথা ছিল। সেখানে না হয়ে সম্ভবত রাজশাহীর কোনো এক প্রেসক্লাবে হয়েছিল। সেখানে ডিজির কোনো প্রতিনিধি ছিলো না। নিয়োগটা সম্পূর্ণ অবৈধ। এবিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মুসা মিয়ার ফোনে একাধিক বার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।