October 8, 2024, 7:34 pm

কেশবপুরে হৈমন্তিক কবিতা উৎসব ও গুণিজন ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান

শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরের কেশবপুরে হৈমন্তিক কবিতা উৎসব ও গুণিজন ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর (শনিবার) রাতে বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থা (বাসাসেস) এর উদ্যোগে কেশবপুর প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা সভা ১০ গুণিজন ব্যক্তিদের মাঝে মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার-২০২২ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম।

উক্ত অনুষ্ঠানে কাব্যাচার্য, বঙ্গশ্রী, নাট্যভূষণ, ইন্টারন্যাশনাল অর্ডার অব মেরিট (লন্ডন), গোল্ড মেডিলিস্ট (আমেরিকা), বাংলা একাডেমীর আজীবন সদস্য ও বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থা (বাসাসেস) এর প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান মুহম্মদ শফি সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও গুণিজনদের হাতে সম্মাননা ও পুরস্কার তুলে দেন খ্যাতিমান সাহিত্যিক, লেখক ও গবেষক ড. সন্দীপক মল্লিক।

অনুষ্ঠানে প্রভাষক লেখক ও প্রাবন্ধিক তাপস মজুমদার এর সঞ্চালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থা (বাসাসেস) এর সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসাইন, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্তী, সাগরদাঁড়ি আবু শারাফ কারিগরি ও বানিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক কানাই লাল ভট্টাচার্য, চুকনগর ডিগ্রী কলেজের সাবেক বাংলা প্রভাষক হাসেম আলী ফকির, পাঁজিয়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার পরিচালক কবি বাবুর আলী গোলদার।
আলোচনা সভা শেষে কাব্য সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, গণমাধ্যম ও জনপ্রতিনিধির সঠিক দ্বায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থা (বাসাসেস) এর উদ্যোগে ১০ জন গুণিজনকে মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার-২০২২ প্রদান করা হয়।
সম্মাননা ও পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, ড. সন্দীপক মল্লিক একজন খ্যাতিমান সাহিত্যিক কবি, লেখক, সঙ্গীতজ্ঞ ও গবেষক হিসেবে দক্ষিণ বঙ্গে একজন সুপরিচিত মানুষ। তিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে ও কল্যাণে তার উদ্যোগ ভূয়সী প্রশংসার যোগ্য। তিনি সাহিত্যে নিবেদিত প্রাণ। গবেষণামূলক প্রবন্ধে তার অবদান অনস্বীকার্য। প্রবন্ধ গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তাকে বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থা প্রবর্তিত মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার ২০২২ এ ভূষিত করা হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন কমান্ডার হিসেবে রণাঙ্গনে
নিজের জীবন বাজি রেখে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন দেশমাতৃকার সেবায়। বর্তমানে তিনি কেশবপুর উপজেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থা প্রবর্তিত মহাকবি মধুসূদন পুরষ্কার-২০২২ এ ভূষিত করা হয়।
সফিয়ার রহমান ব্যক্তিজীবনে একজন অধ্যাপক। সাহিত্য সাংস্কৃতিতে তার অবদান অনস্বীকার্য তিনি গবেষণামূলক গ্রন্থের প্রনেতা। তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধ, নিবন্ধ পাঠকমহলে সমাদৃত। তিনি ছোট গল্প ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক লেখার সিদ্ধহস্ত। তিনি পেন ফাউন্ডেশনের সাম্মানিক সভাপতি। যেটি ইতিমধ্য জাতীয় পর্যায়ে পতিষ্ঠিত। প্রবন্ধ গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তাকে বাংলাদেশ সাহিত্য সেরা সংস্থ প্রবর্তিত মহাকবি মধুমূদন পুরষ্কার-২০২২ প্রদান করা হয়।
ডা: কামরুজ্জামান আমাদের কেশরপুরের সন্তান। তিনি একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন সুনামের সহিত। অর্থ নয়, বিও নয় আত্ম মানবতার সেবাই তার লক্ষ্য। একজন আদর্শ চিকৎসক হিসেবে ইতিমধ্যে তার সুনাম সর্বজন স্বীকৃত। মানবতায় যার মূল লক্ষ্য সেজন্য বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থা প্রবর্তিত মহাকবি মধুসূদন পুরস্কর এ ভূষিত করা হয়।
প্রনব বিশ্বাস বিশু তৎকালীন যাত্রাজগতের একজন অত্যন্ত সফল অভিনেতা ও নির্দেশক। দীঘদিন তিনি অভিনয় যাত্রা ও নাটক নির্দেশনার পাশাপাশি উদীদী কেশরপুর শাখা সংসদ এর সভপতির দায়িত্ব অত্যন্ত সুনাসের সাথে পালন করেছেন। তিনি একজন সফল নাট্য নির্দেশক হিসেবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আজ তিনি প্রয়াত। বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থা মহাকবি মধসূদন পুরস্কার-২০২২ এ মরণোত্তর প্রদান পূর্বক আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
আলাউদ্দিন আলা ব্যক্তিজীবনে শিক্ষকতা পেশার নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি। জনপ্রতিনিধিত্বে তার দীর্ঘ দিনের একজন জনপ্রিয় সামাজিক জনপ্রতিনিধি হয়ে কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন এবং জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। জনপতিনিধিত্বে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংহা (বাসাসেস) প্রবর্তিত মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার-২০২২ প্রদান করা হয়।আশরাফ-উজ-জামান দীর্ঘ ৪২ বছর যাবৎ সাংবাদিক পেশায় জড়িত। তিনি একজন জনপ্রিয় সাংবাদিক। সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে তার লেখনি অবিচল। তিনি পর পর ৭ বার ঐতিহ্যবাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থা (বাসাসেস) এর প্রবর্তিত মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার-২০২২ প্রদান করা হয়।
ইব্রাহীম রেজা সুদীর্ঘকাল কাব্য সাধনায় নিয়োজিত।
কর্মজীবনে তিনি সরকারি চাকুরীজীবী ছিলেন। বর্তমানে তিনি কাব্য ও সাহিত্যে সাধনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। মুক্তিযুদ্ধের তথ্য উপাত্ত সংগ্রাহক ইব্রাহীম রেজার চুকনগর গণহত্যার বিষয় গবেষণা ও প্রকাশনা ইতিমধ্যে আলোচিত। কাব্য সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে (বাসসেস) প্রবর্তিত মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার প্রদান করা হয়।
তৃষা চ্যামেলি একজন কবি ও শিক্ষক। তিনি একজন নিবেদিত কবিতা কর্মী হিসেবে সাধনা করছেন দীর্ঘদিন। কাব্য রচয়িতা হিসেবে তিনি সফল। ইতিমধ্যে তার রচনা সর্বমহলে প্রশংসনীয়। তিনি শতাব্দী সাহিত্য পরিষদ যশোরের সাধারণ সম্পাদক। নারীর প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে একজন সাহসী ও সংগ্রামী মানুষ তৃষা চ্যামেলি। নারীর ক্ষমতায়নের এই সুদিন

আমরা তাকে অভিবাদন জানানোর পাশাপাশি (বাসসেস) প্রবর্তিত মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার-২০২২ এ ভূষিত করা হয়। এছাড়াও এম. জি মহসিন একজন কবি ও কথাশিল্পী। ব্যক্তিজীবনে ছোট্ট একজন ব্যবসায়ী। ইতিমধ্যে তার গল্প গ্রন্থ “দা ক্রাইম সেন্স” পাঠকমহলে আলোচিত। জীবন সংগ্রামের সাহসী যোদ্ধা কবিতা ও গল্প আমাদের অনুপ্রায়িত করে। তার অনাবাদ্য সৃষ্টির জন্য (বাসসেস) প্রবর্তিত মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার-২০২২ এ ভূষিত করা হয়।
বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থা’র পক্ষ থেকে সকলের উত্তরোওর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন যশোর খাজুরা সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন কলেজ এর প্রভাষক ও কবি এম এ কাসেম, সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ, বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থা (বাসাসেস) এর সদস্য কবি মোঃ মুনসুর আলী, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মাসুদা বেগম বিউটি, শ্যামনগর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও কবি তৃষা চ্যামেলি, অভয়নগর উপজেলার চরণ কবি বাবুল আহমেদ তরফদার, যশোরের কবি এম এন এস তুর্কী, সাংবাদিক ও কবি ইব্রাহীম রেজা, কবি নজরুল ইসলাম খান, শিক্ষক ও কবি সুব্রত বসু কঙ্কন, কবি পার্থ সারথী সরকার, কবি রিয়াজ লিটন, কবি আক্তারুজ্জামান, কবি সুব্রত বসু, কবি লিটন হোসেন ও কবি শাহীন সাগর প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মশিউর রহমান, খেলাঘর কেশবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকমাল আলী, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক পরেশ দেবনাথ, ওলিয়ার রহমান, স্বাধীন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে লেখক, কবি-সাহিত্যিককর্মীবৃন্দ।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা