শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরে অত্যন্ত শান্তিপূর্ন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ই অক্টোবর (বুধবার) রাতে লালদিঘীর পুকুর পাড়ে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন কমিটি যশোর জেলা শাখার আয়োজনে শারদীয় দুর্গোৎসব এর প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্ঠান অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
শারদীয় দুর্গোৎসব এর প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে জেলার সার্বিক নিরাপত্তা তদারকিসহ প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্ঠান পরিদর্শন করেন যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম।
পুলিশ সুপার প্রথমে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উপস্থিতি সকলকে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান। এসময় তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকে নিজ-নিজ ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। পুজা উপলক্ষে যশোর জেলা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে। এখানে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ব্যতীত সফলতার সহিত শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে সক্ষম হয়েছি।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ মানেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সেই চেতনাকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে কোন প্রকার সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই। তবে যেকোন ধর্মীয় উৎসব এলেই এখানে গুটি কয়েক ধর্মান্তক গোষ্ঠী কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করে।
কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যান্ত সুশৃংখল এবং অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিক শক্তিশালী। এখানে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে ফায়দা লোটার কোন সুযোগ নেই। আর যদি কেউ এটা করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেন তবে আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার বিরুদ্ধে কঠিনতম আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেক্ষেত্রে কোন অপশক্তিকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন বিসর্জনের শেষ সময়টা অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এব্যাপারে সতর্ক থাকতে সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
পরিশেষে তিনি বলেন, যশোর হবে নিরাপদ, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিপূর্ণ একটি জেলা। সব ধরনের অপশক্তি কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
এর আগে তিনি শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাঘারপাড়া থানাধীন পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।প্রতিটি পুজা মন্দির পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।
এ সময় পুলিশ সুপারের সাথে উপস্থিত ছিলেন তার সহধর্মিণী যশোর পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), এর সভানেত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (NSI) এর অতিরিক্ত পরিচালক বিপ্লবী রানী।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান, পুজা উদযাপন কমিটি যশোর জেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।