April 25, 2024, 5:12 pm

বন্দরে প্রধান শিক্ষিকার অপমান সইতে না পেরে শিক্ষার্থীর আতœহত্যার চেষ্টার ঘটনায় তোলপাড়

বন্দর(নারায়ণগঞ্জ)সংবাদদাতা ঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে প্রধান শিক্ষিকার অপমান সইতে না পেরে প্যান্টের বেল্ট প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে মাশরাফি(১০)নামে এক কোমলমতি শিক্ষার্থী। ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে থানার কল্যান্দী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আত্তহত্যা চেষ্টাকারী মাশরাফিকে গুরুতর অবস্থায় নবীগঞ্জস্থ বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কল্যান্দী বাশঝাড়তলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল সাত্তার মিয়া জানান তার ছেলে মাশরাফি স্থানীয় কল্যান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। তার ছেলে ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে যায়। প্রধান শিক্ষিকা রেজিয়া সুলতানা পড়া বুঝে না পাওয়ায় মাশরাফিকে তার সহপাঠিদের সামনে মারধরসহ অপমান করে এবং তার মা-বাবাকে নিয়ে আসতে বলেন। একেতো সহপাঠিদের সামনে অপমান তার উপরে বাবা-মাকে আনতে বলায় মাশরাফি আতংকে এবং লোকলজ্জার ভয়ে তাদের বাড়ির বাথরুমে ঢুকে প্যান্টের সাথে থাকা বেল্ট খুলে পাইপের সঙ্গে বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যার চেষ্টা চালায়। পাইপে ঝুলে আছাড় খাওয়ায় পাশের রুমে থাকা মাশরাফির দাদী আয়েশা আক্তার স্বপ্না বিকট শব্দ পেয়ে বাথরুমের দিকে গেলে শিশু মাশরাফি আতœহত্যা করেছে বলে গোঙ্গাতে থাকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে দাদী স্বপ্না বেগম ডাক চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন ছুটে এসে লোহার শাবল দিয়ে লোহার দরজা ভেঙ্গে মাশরাফিকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে দ্রæত নবীগঞ্জস্থ বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় গোটা কল্যান্দীসহ আশ পাশের এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রেজিয়া সুলতানার ব্যবহৃত (০১৭২৬৫৫১৮০৯ নম্বরের)মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা