বন্দর সংবাদদাতা ঃ বন্দরের ভয়ংকর কাটা সিফাত বাহিনীর ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছো নিরীহ রুহিত ও তার পরিবারের সকল সদস্যরা। ১৯সেপ্টেম্বর(সোমবার)সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক বক্তব্যে আহত রুহিতের পিতা ইউনূছ মিয়া ও মাতা রুনা বেগম এসব বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তারা বলেন,বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার ইয়াবা শাহিনের ছেলে শেখ সিফাত ওরফে কাটা সিফাত বাহিনী দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকার নিরীহ লোকজনকে জিম্মি করে জোর-জুলুম করে আসছে। তাদের এই বাহিনীটি এলাকায় সকল অপরাধের নেতৃত্বে দেয়। রুহিতের মা রুনা বেগম জানান,আমার ছেলে সামান্য একজন দিনমজুর। একটি গার্মেন্টসে কার্টিংয়ের কাজ করে। ঘটনার দিন ১২ সেপ্টেম্বর(মঙ্গলবার)রাতে কাটা সিফাত বাহিনী অহেতুক আমার ছেলের উপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে যাওয়ায় আমার স্বামী এবং ভগ্নিপতিকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তারা সব সময় অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে। কাটা সিফাত বাহিনীর প্রত্যেকটা সদস্যই ভয়ংকর। তাদের কাজই মানুষ খুন-খারাবি করা। কাটা সিফাত বাহিনীর অন্যতম সদস্যরা হলো সালেহনগর বাংলাদেশ পাড়ার আক্কা মিয়ার ছেলে আশরাফুল ওরফে কালু,শাহ আলম মিয়ার ছেলে রাব্বী,ইয়াছিন,এনদা মিয়ার ছেলে ফয়সাল,নূর হোসেনের ছেলে পিংকি এবং সিফাত(২),রিফাত,জুম্মন,রাতুল,পাভেল,সেলিম ও শিপন। সব সময় এরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। তাদের মহড়ার কারণে সালেহনগর,শাহী মসজিদ.খালপাড়া,নূরবাগ,হাফেজীবাগ কলোনী,বাংলাদেশ পাড়া,বাড়ইপাড়া ও বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দারা প্রতিনিয়তই আতংকে দিন কাটায়। এদিকে এ মামলার আসামীরা দ্রæত জামিনে বেরিয়ে আসায় বাদীপক্ষক্ষে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে তাদেরকে স্ব-পরিবারে হত্যারও হুমকি দেয় সন্ত্রাসী কাটা সিফতা বাহিনী। সিফাত বাহিনীর হুংকারে জীবন শংকায় ভুগছে ভুক্তভোগী রুহিতের পরিবার। এদের ভয়াল কবল থেকে মুক্তি পেতে রুহিতের পরিবার র্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।