January 23, 2025, 10:42 am

সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজিতে এক কিলোমিটারের মধ্যে অর্ধশতাধিক কয়েল ও খানাডুলির অবৈধ কারখানা। সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব। ।

স্টাফ রিপোর্টারঃ সিদ্ধিরগঞ্জে এক কিলোমিটারের মধ্যে অর্ধশতাধিক কয়েল ও খানাডুলির অবৈধ কারখানা।অন্যান গুলো তো আছেই এ এলাকাকে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নেয়ায় এখানেই সরকার প্রতিমাসে হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকাকে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে অবৈধ কয়েল ও খানাডুলির কারখানার মালিকরা

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক কয়েল তৈরির কারখানা ও খানাডুলির কারখানা। এসব কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাসসংযোগ দিয়ে চালানো হচ্ছে কারখানাগুলো । ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে,জালানি সংকটে সরকার হিমশিম খাচ্ছে। আর অবৈধ ভাবে রাতের অন্ধকারে একটি চক্র গ্যাস সংযোগ দিয়ে আর্থিক ফায়দা লুটে রাতারাতি হচ্ছে কোটি পতি।এদিকে বৈধ সংযোগ নিয়ে ওভারলোডে আছে তিতাস । জরিমানা, মামলা করেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাযায়, পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই কোন রকম জায়গা ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মশা দূর করার কয়েল বানানোর কারখানা।ও খানাডুলির কারখানা। প্রতিটি কারখানায় একাধিক নামে কয়েল তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছে।

বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব কয়েল তৈরির কারখানা চালাচ্ছেন মালিকরা। এসব কারখানায় প্রতিনিয়তই ঘটছে অগ্নিকান্ডের মত দূর ঘটনা। অনুমতি না থাকায় কারখানাগুলো করা হয়েছে অলিগলির ভেতরে। ফলে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে ও ব্যাঘাত ঘটছে। যে কারণে আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ কয়েল কারখানায় অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, আর্থিক জরিমানা ও কারখানা সিলগালা করে । তবে অভিযান শেষ করে চলে যাওয়ার পরই মালিকরা আবার গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে কারখানা চালু করেন। বছরের পর বছর ধরে চলছে তিতাস আর কয়েল কারখানার মালিকদের এই চোর পুলিশ অভিযান খেলা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার হাজেরা মার্কেট এলাকায় এখলাছ মিয়ার ‘বুশরা ও চমক’, হারুনের ‘সোনালি’, প্রিন্সের ‘কুইন’, আসাদ মিয়ার ‘সিভিল ম্যাজিক’; মিজমিজি মাদ্রাসা রোড হারুনের সোনালী, মিজমিজি মতিন সড়কে আলমের ‘ডিকে’; জাহাঙ্গিরের বসুন্ধরা, মিজমিজি ধনু হাজি সড়কে বজলু মিয়ার ‘হক কয়েল’, কামালের ‘গর্জন’ ও ‘পাগলা’; পাইনাদী শাপলা চত্বরে লাভলু মিয়ার ‘মারুফ’; মিজমিজি বাতানপাড়া মহিউদ্দিনের ‘পিসিপি’, ‘নাইট ফোর্স’, ‘বোস্টার’, ‘বাসক পাতা’, ‘অল মার্ডার’; একই এলাকায় সামছুল ইসলামের ‘ভেনিস’ ও ‘পিয়াস’; মিজমিজি পশ্চিমপাড়ায় আনোয়ারের ‘ক্রাউন’, জামানের ‘হিরু’; মিজমিজি কান্দাপাড়ায় , হোসেনের ‘অ্যাপেক্স’ নামের কয়েলসহ প্রায় অর্ধশতাধিক কয়েল তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। যেগুলো চলছে অবৈধ গ্যাসসংযোগে।

নারায়ণগঞ্জ তিতাসের ব্যবস্থাপক সাকির আহমেদ বলেন, অবৈধ লাইন নিয়ে আমরা অসম্ভব ওভারলোডে আছি। একসময় লাইন সংযোগ দিতে দক্ষ লোক লাগত। এখন এলাকার ওয়েল্ডিং ও পানির মিস্ত্রিরা এ কাজটি করতে পারছে। যে কারণে কোনোভাবেই অবৈধ সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অর্থদ- মামলা সিলগালা ও করি। কিন্তু কারখানার মালিকরা এলাকার মিস্ত্রি দিয়েই গোপনে আবার সংযোগ দিয়ে দেয়। আর ইচ্ছা করলেই আমরা অভিযান চালাতে পারি না। সবসময় অভিযান চালাতে ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়া যায়না।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা