September 11, 2024, 10:31 pm

সিদ্ধিরগঞ্জের হাজেরা মার্কেটে গ্যাসের সংযোগ বিছিন্ন করার পর নাটকিয় ভাবে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায় সংযোগ পেল অবৈধ কারখানার মালিকরা।

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি এলকায় ছোট বড় কারখানা গড়ে উঠেছে ব্যা ঙ্গের ছানার মত। এই এলাকাকে অবৈধ কাখার মালিকরা নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন।এখানে গ্যাস বিল না দিয়ে চালাতে পারে তাদের ব্যবসা। রাতারাতি হওয়া যায় কোটি পতি।

বৈধ গ্রাহকরা গ্যাসের জন্য বিভিন্ন সময় মানববন্ধন করলেও তার কোন সুফল পাচ্ছে না বৈধ গ্রাহকরা। কিন্তু বিশেষ পেশার একজন,ও রনি নামের গ্যাসের দালালের মাধ্যমে, তিতাসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারিদের ম্যানেজ করে অর্ধশতাধিক কয়েল কারখানা ও খানাডুলির কারখানায় কম্পেসারের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকা মূল্য গ্যাস পুরিয়ে কয়েল ও খানাডুলি কারখানার মালিকরা বনেগেছে কোটি কোটি টাকা মালিক।

আর তাদের কে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ দিয়ে তাদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে, টাকায় লালে লাল হয়ে গেছে বিশেষ পেশার একজন ও রনি নামের গ্যাসের দালাল। এবং তিতাসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায় মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সময় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হলে তিতাসের লোকেরা লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে। দিনের বেলা সংযোগ বিছিন্ন করে রাতে সংযোগ লাগিয়ে দিয়ে ফের চালু করে তাদের ব্যবসা। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর অবৈধ গ্যাস দিয়ে কয়েল ও খানাডুলির কারখানায় কাজ।

আর বৈধ গ্রাহকরা ভিবিন্ন সময় মানববন্ধন মহাসড়ক অরোধ করেও এর কোন সুফল পাচ্ছে না। গত জুন মাসে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি হাজেরা মার্কেট এলাকায় দুইটি কয়েল তৈরির কারখানা ও তিনটি খানা ডুলি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদ এর নেতৃত্বে।

সেসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদ বলেন তারা একএকটি কারখানায় প্রতিমাসে প্রায় ১০ লাখ টাকার গ্যাস চুরি করে।সেসময় তিতাস গ্যাসের প্রধান সংযোগটি বন্ধ করে দেয়া হয়। যার কারনে বৈধ গ্রাহকরাও বিপাকে পড়েন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশেষ পেশার একজন ও গ্যাসের দালাল রনি এলাকাবাসীকে ফুসলিয়ে বৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার দাবিতে এলাকাবাসীকে দিয়ে মহাসড়কে মানববন্ধন করায়।

এরপর গ্যাস সংযোগ টি খুলেদেয়া হয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাজেরা মার্কেটে গ্যাসের সংযোগ বিছিন্ন করা কারখানা গুলোতে নাটকীয় ভাবে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায় সংযোগ পেল অবৈধ কারখানার মালিকরা। কারখানা মালিক সূত্রে জানাযায়।

এদিকে সরকার যখন সব কিছু নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সেই সময় ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী ও এলাকার স্থানীয় দালালরা সরকারের মূল্য বান সম্পদ গ্যাস নিয়ে লুটপাট করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব।

এব্যপারে রনির কাছ থেকে জানতে চাই হাজেরা মার্কেটে গত জুন মাসে অবৈদ কয়েল ও খানাডুলির কারখানার গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করা কারখানা গুলো কি ভাবে সংযোগ পেল?। তিনি বলেন একটি কারখানায় বিভিন্ন পাশ দিয়ে গ্যাস সংযোগ লাগানো থাকে একটি সংযোগ বিছিন্ন করলে অন্য সংযোগ চালু করে। আর টাকার ব্যপারে আমি কিছু জানিনা, আমি গ্যাসের কাজ করিনা,আপনি যা শুনেছেন তা সঠিক না।

এব্যপারে তিতাস গ্যাসের নারায়ণগঞ্জ শাখার ম্যানেজার সাকিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন টাকার ব্যপারে আমি জানিনা তিতাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে কেউ বাসাবাড়ি এবং কারখানা চালাতে পারবেনা। কিছু দিনের মধ্যে আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।তিনি আরো বলেন তিতাস আইনে আছে যে এলাকায় অবৈধ সংযোগ বেশি সেই এলাকায় বৈধ সংযোগ বন্ধ করার এখতিয়ার রাখে তিতাস কোম্পানি।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা