গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃসন্ত্রাসীদের ভয়ে গাইবান্ধার তালতলার অসহায় একটি পরিবার গতকাল রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে তাদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন। তারা জানান, গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘাগোয়া তালতলা বাজার এলাকার মনোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ক্রয়কৃত পৌনে এক শতক জমিতে দোকান ঘর তুলে ১৯৯৯ সাল থেকে ব্যবসা করে আসছিল। ওই দোকান ঘরের পাশে একটি ঈদগাহ মাঠ রয়েছে। উক্ত ঈদগাহ মাঠ কমিটির সাথে সম্পৃক্ত শাহজামাল, সুমন মিয়া, গোলজার রহমানসহ কয়েকজন গত ৮ জুলাই দোকানে এসে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। সাইফুল ইসলাম চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা হামলা চালিয়ে দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাটসহ তাদেরকে মারপিট করে। বাধা দিতে গেলে হামলাকারিরা সাইফুলের পিতা মনোয়ার হোসেন, মা ছবেদা বেগম, স্ত্রী শোভা বেগম, চাচা আবু তালেবের উপরেও হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তারা হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনায় গত ১৩ জুলাই ১১ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করায় সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। গত ১৫ জুলাই সন্ত্রাসীরা দ্বিতীয় দফায় রূপার বাজার সড়কে সাইফুল ইসলামের আরও ৪টি দোকান ও ১টি রাইস মিল ভাংচুর করে এবং তার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই হুমকিতে তার পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না। এমনকি দুই শিশু শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যেতে না পেরে তাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে বলে পুলিশ সুপারকে জানানো হয়। এর আগে ভুক্তভোগীরা রোববার সকালে প্রতিকার চেয়ে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল সাইফুলের চাচা আবু তালেব, চাচী মজিদা বেগম, মা ছবেদা বেগম, স্ত্রী শোভা বেগম, ছেলে তানভীর শেখ তাহের শেখ, ভাই শামীম মিয়া, বড় বোন মনজু রাণী প্রমুখ।