শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরের কেশবপুরে চঞ্চল দাস (২২) নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও পেট কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মজিদপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের কার্তিক দাস এর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মজিদপুর গ্রামে ঋষিপাড়ার কার্তিক দাস এর ছেলে চঞ্চল দাস বাড়ির পাশে মাঠের মধ্যে রবিউল ইসলাম রবির কলা বাগান থেকে গলা ও পেটকাটা মারাত্নক জখম অবস্থায় ছুটে এসে কাকা বিকাশ দাসের বাড়ীতে এসে গোঙানি করতে থাকে। ওই সময় শব্দ শুনে বিকাশ দাস ও তার স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে দেখে বারান্দার শিড়িতে গলা ও পেট কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। ওইসময় তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে চুকনগর এলাকার পৌঁছালে মারা যান তিনি।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে রাতেই সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) আশেক সুজা মামুন ও কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে নিহতের পিতা কার্তিক দাস জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্ধায় আমি আর আমার ছেলে বাড়িতে ছিলাম হঠাৎ আমার ছেলে চঞ্চল এর ব্যবহৃত ফোন নম্বরে একটা কল আসে। আমি ছেলের কাছে কে ফোন করেছে জানতে চাইলে সে কারো নাম বলেনা। তারপর সে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। তারপর আমি রান্নার কাজ শেষ করে বাড়ী থেকে পাশের একটি দোকান টিভি দেখার জন্য যায়। কিছু সময় পর এলাকাবাসীর চিৎকারে শুনে ছুটে গিয়ে বিকাশের বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ছেলে গলা ও পেট কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। কে-বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলতে পারিনা।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।