মোঃ মুক্তার হোসেন ,বেনাপোল(যশোর):- বাংলার মানুষের বহু আকাঙ্খার প্রত্যাশিত “পদ্মা সেতু” আজ উদ্বোধণ ঘোষণা করা হলো। শনিবার(২৫ জুন) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি-শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক এই ৬.১৫ কিলোমিটার (পানির উপরের অংশ) এবং দুই প্রান্তে বর্ধিত সড়ক সহ এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার সেতু’র উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১২ টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ফলক উন্মোচন করে সেতু’র উদ্বোধনী কাজ শুরু করেন,এরআগে সেখানে তিনি বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী’র গাড়ীবহর সেতু প্রান্তে অবস্থিত টোল আদায় কেন্দ্রে টোল প্রদান করে সেতু’র উপর পাড়ী জমান। এবার আস্তে আস্তে প্রধানমন্ত্রী’র গাড়ী বহর শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের দ্বিতীয় ফলক উন্মোচন শেষে “পদ্মা সেতু”র উদ্বোধন কাজ শেষ করেন। পরে জাজিরা প্রান্তে অপর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী তার শেষ ভাষণ উপস্থাপণ করেন। এ সকল জনসভায় প্রায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে।
এদিকে, “পদ্মা সেতু” উদ্বোধন ঘোষণার সাথে সাথে যশোর জেলার অন্তর্গত বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিশাল আনন্দ র্যালি বের করা হয়। এতে পুলিশ সহ এলাকার শত শত মানুষ ঐ র্যালি তে অংশ নেন। আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উৎসুক মানুষ রং এর হলি খেলায় মেতে ওঠে,তারা একে অপরের শরীরে রং মাখিয়ে দেয়,সম্পূর্ণ থানা এলাকা জুড়ে আনন্দ মেলায় পরিণত হয়। পরে,বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া’র নেতৃত্বে বিশাল ঐ র্যালি টি থানা এলাকা ছেড়ে বেনাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
উক্ত আনন্দ র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি-এনামুল হক মুকুল,সাধারণ সম্পাদক, নাসির উদ্দিন, শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি- অহিদুজ্জামান অহিদ, বেনাপোল পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আহাদুজ্জামান বকুল, যুগ্ন-আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, যশোর জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক, সালমা আলম সহ বিভিন্ন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা নেতৃবৃন্দ।
“পদ্মা সেতু” উদ্বোধন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া প্রধানমন্ত্রী’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “পদ্মা সেতু” শুধুমাত্র দেশের দক্ষিনাঞ্চল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে না,এটি সমগ্র দেশের তথা ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন ঘটাবে। আমাদেরকে ধৈর্য সহকারে এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করার সহযোগীতায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য,দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে ” পদ্মা সেতু”র মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়।