,সিদ্ধিরগঞ্জ (১৪’জুন ২২’ইং মঙ্গলবার) ঃ সিদ্ধিরগঞ্জে জুম্মা’র নামাজে পুলিশের উপর হামলার ঘটনার মামলায় ৩৬’জনকে গ্রেফতারের জেরে র্যাব, পুলিশ ও বিহারীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক তম্ময় মন্ডল বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার নামীয় ৪৯’জনসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩শ’ বিহারি নারী পুরুষকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সৈয়দ আজিজুল হক আদমজী বিহারী কলোনি এলাকার একটি মসজিদে হামলার শিকার হোন। এসময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন এবং সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন রবিন আহত হোন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ৫০’জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২০/১২৫’জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করে। গত রবিবার রাতে পুলিশ আদমজী বিহারি কলোনিতে অভিযান চালিয়ে ৩৬’জনকে আটক করে। পুলিশের এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে গত সোমবার সকাল থেকে আদমজী-চাষারা সড়ক অবরোধ করে রাখে বিহারি কলোনির বাসিন্দারা। এ সড়কের আদমজী কদমতলী পুল এলাকায় রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে অবস্থান নিয়ে গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। সকাল ৯’টায় এসে উপস্থিত হয় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) মো. আমির খসরু। তিনি বিক্ষোভকারিদের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্য থেকে অতর্কীতভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় পুলিশ বিক্ষোভকারিদের ছত্রভংগ করতে প্রায় অর্ধশতাধিক টিয়ারশেল ও কয়েকশ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে। প্রায় ২’ঘন্টাব্যাপী পুলিশ ও বিহারিদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ, সাংবাদিক ও নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০’জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান পিপিএম বার জানান, ভিডিও ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে যারা এ সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আসামী করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামীদের বিষয়ে তিনি বলেন, তাৎক্ষনিকভাবে অনেকের নাম ঠিকানা জানা যায়নি এবং অনেককে চিহ্নিত করা সম্ভবও হয়নি তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার তথ্য প্রমান পেলে মামলায় সংযুক্ত করা হবে। তবে এ ঘটনায় কোনো সাধারণ মানুষ ও নিরীহ কাউকে জড়ানো হবেনা। এখনো পর্যন্ত এ মামলায় কোন আসামি গ্রেফতার করা হয় নাই।######