নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানা এলাকায় থেমেনেই শীর্ষ সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন মোমেন ওরফে টাইগার মোমেন ও তার সহযোগীরা। সোনারগাঁও থানা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন মোমেন ওরফে টাইগার মোমেন, তার সহযোগী আশেক আলির ছেলে মামুন ও শান্ত সহ ১৫-২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভিবিন্ন সময় এ বাহীনিরা অপকর্ম করে আসছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- সন্ত্রাসী সেলিম ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন মোমেন ওরফে টাইগার মোমেন ও তার সহযোগীরা গত শনিবার রাতে সোনারগাঁও কাঁচপুর এ্যাপোলো হাসপাতাল এন্ড কম্পিউটারাইজড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় হাসপাতালের মালিক, তার স্ত্রী ও দারোয়ান সহ কয়েকজনের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এবং প্রাননাশের উদ্দেশ্য হামলা করে। মোমেন সাইনবোর্ড থেকে মদনপুর মহাসড়কে চুরি ডাকাতি ছিনতাই মাদক সহ ভিবিন্ন অপকর্ম করার জন্য বিশাল এক বাহিনি গড়ে তুলেছে। এলাকাবাসী আরো জানায় হামলার পর কাচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ভাই ভাইস চেয়ারম্যন বাবু ঘটনাস্থলে গেলেও কোন একশন নিতে পারেনি। কোন এক শক্তির বলে এদেরকে চেয়ারম্যান প্রশাসনের থেকেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। প্রশাসন ও তাদের অপকর্মের ব্যপারে কোন পদক্ষেপ নেয় না কোন এক অজানা রহস্যে। সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন মোমেন ওরফে টাইগার মোমেন একাধিক মামলার আসামি খুন,ধর্ষন মাদক সহ অনেক অভিযোগ থাকা সত্তে কোন এক অজানা রহস্যে সোনারগাঁও থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। এমনকি চেয়ারম্যান এর ভাই বাবুকেও কোন তোয়াক্কা করেনা এই মোমেন বাহিনি। প্রসাশনের এমন নিরব ভুমিকায় এলাকার সাধারন মানুষ ভীত। কাঁচপুর এলাকার একাধিক বাসিন্দা এই মোমেন ওরফে টাইগার মোমেন বাহীনির জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও র্যাব -১১’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্যঃ শুক্রবার (৩০এপ্রিল) দুপুরে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাইন এলাকা থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ২শ পিস ইয়াবা, ১ লিটার বাংলা মদ, নগদ ১০হাজার টাকা ও ৩ টি মোবাইল ফোনসহ টাইগার মোমেন ও তার এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। বর্তমানে এই সন্ত্রাসী বাহীনিরা জামিনে এসে আবারো শুরু করছে ভিবিন্ন অপরাধ-অপকর্ম।