প্রেস বিজ্ঞপ্তি গত ২১ মার্চ ২০২২ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে অত্যন্ত নৃশংস ভাবে আলমগীর হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৭০, তারিখ-২৩/০৩/২০২২ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ভিডিও চিত্র মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তাছাড়া এই ঘটনা স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় ও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
৩। উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০১ এপ্রিল ২০২২ তারিখ র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর অভিযানে ডিএমপি, ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে এই হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী ১। ওমর ফারুক (৪৬) এবং ২। হাজী আব্দুল আলী (৬০) দ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
৪। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত আলমগীর হোসেন (৩৪) গ্রেফতারকৃত আসামী হাজী আব্দুল আলীর তিশা ব্রিক ফিল্ড ও ওমর ফারুক এর মারুফা ব্রিক ফিল্ডে লোড আনলোডের কাজ করত। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২১ মার্চ ২০২২ তারিখে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় সহ আরো ৩০/৩৫ জন নিহত আলমগীরকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত-পা-দাঁত ভেঙ্গে দেয় ও ধারালো চাকু দ্বারা আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরবর্তীতে আশংকাজনক অবস্থায় পুলিশ কর্তৃক ভিকটিমকে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করলে ভিকটিম সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।