April 19, 2024, 1:47 pm

সৌদি আরবের জেদ্দায় যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালন

সৌদি আরবের জেদ্দায় যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এ উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৭টায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসটি উদযাপনের কার্যক্রম শুরু হয় ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলায়াত এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করার পর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয় । রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন শোনান যথাক্রমে শ্রম কাউন্সিলর কাজী এমদাদুল ইসলাম, কাউন্সিলর কামরুজ্জামান ভূইয়া, দ্বিতীয় সচিব আরিফুজ্জামান ও প্রথম সচিব ফাহিমি মোহাম্মদ সাইফ । কনসাল জেনারেল নাজমুল হক তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে। উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি লাভ করেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে দৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমন একটা সময় গেছে বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ করা যেত না, ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র ছিল, এমন একটা সময় পার করেছি আমরা, কিন্তু সত্য চিরন্তন সত্য, সত্যকে কখনো চাপা দেওয়ার যায় না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর নাম আরো শক্তভাবে আরও ধীরতার সাথে উচ্চারিত হচ্ছে। কারণ বঙ্গবন্ধু একজন বঙ্গবন্ধুই। বঙ্গবন্ধু পাশে দাঁড়ানোর মতো নেতা বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করেনি করবে কিনা সন্দেহ।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আজ বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিয়, গর্ববোধ করি, সেই একই সঙ্গে গর্ববোধ করা উচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যারা গর্ববোধ করে না যারা বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করে না, তারা কখনো বাংলাদেশি হতে পারে না। যারা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, আপনারা এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে প্রতিহত করুন।

দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সৌদি আরব প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। পরে ১৯৭১ সালে মহান মক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয় । অনুষ্ঠান শেষে অস্থায়ী শহীদ মিনারে কনসাল জেনারেল নাজমুল হক কনসুলেটের কর্মকর্তাদের নিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, এরপরপর বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ বাংলা, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল বৃটিশ কারিকুলাম, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করেন।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা