প্রেস বিজ্ঞপ্তঃ ১৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন ভূইগর এলাকায় যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় পাষন্ড স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধারালো চাপাতি দিয়ে ডান হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মোঃ রুবেল (২৭) বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৪৩, তারিখ-১৯/০১/২০২২ইং, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ১১(ক)। ঘটনার পর আসামী মোঃ রফিক (৩১) ভিকটিমকে বাসায় তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় এবং গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। এই ঘটনা স্থানীয় ও জাতীয় সকল গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় ও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ এই নৃশংস ঘটনার আসামী মোঃ রফিককে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১১ ও র্যাব-৭ এর যৌথ অভিযানে এই নৃশংস ঘটনার আসামী মোঃ রফিককে চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, প্রায় দেড় বছর পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রফিক ও ভিকটিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর আসামী রফিক ব্যবসার জন্য তার স্ত্রীর নিকট দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। ভিকটিম তার বাবার বাড়ী থেকে এক লাখ টাকা এনে দিলেও আরো এক লাখ টাকার জন্য সে প্রায়ই ভিকটিমকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো এবং একপর্যায়ে যৌতুকের টাকা না পেয়ে মারধর করে সে তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর ভিকটিমের পরিবার পুনরায় যৌতুকের টাকা দেয়ার আশ^াস দিলে গত এক মাস আগে সে তার স্ত্রীকে পুনরায় ফতুল্লায় ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে। অতঃপর যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় গত ১৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে ১৯০০ ঘটিকায় রফিক তার স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে ধারালো চাপাতি দিয়ে ডান হাতের কব্জি কেটে হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রফিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।