শামীম আখতার বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনায় রুহুল হাওলাদার ও শহিদুল মল্লিক নামে আরও দুই জেলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে জেলেরা। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুন্দরবনের দুবলারচর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগর থেকে ওই দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। তবে এখনো অন্তত ৮ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে দুবলার চরের জেলেরা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দবনের দুবলার শুটকি পল্লী এবং উপকূলীয় এলাকার অন্তত ২১টি ট্রলার ডুবে যায়। শনিবার সকালে ডুবে যাওয়া ১৬টি ট্রলার এবং দেড় শতাধিক জেলেকে সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার করে অন্য জেলেরা। মঙ্গলবার দুপুরে উদ্ধার হওয়া রুহল হাওলাদার (৪২) বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের উকিল উদ্দিনের ছেলে এবং শহিদুল মল্লিক (৪০) একই এলাকার সৈয়দ মল্লিকের ছেলে।
শুক্রবার রাতে ট্রলার ডোবার পরে শনিবার ২ জনের, রবিবার রাতে একজনের এবং সোমবার আরও দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে জেলেরা। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মামুন শেখ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকার ইসমাইল শেখ, কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের প্রয়াত সোনাম উদ্দিনের ছেলে ইয়াকুব আলী বাওয়ালী (২৮), একই গ্রামের ইউসুফ মোল্লার ছেলে মহিদ মোল্লা (৩৫) একই উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের প্রয়াত সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদল (৫০)।
বগা গ্রামের জেলে ও নিহত ইয়াকুব আলীর স্বজন ইব্রাহীম আমানী বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমাদের গ্রামের চারজনের মরদেহ আমরা পেয়েছি। এ ছাড়া আবুবক্কর ও বাবুল হাওলাদার নামে আরও দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
সুন্দরবনের দুবলা জেলেপল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায় বলেন, দুপুরে দুবলার চরের অদুরে সাগরে দুই জেলের মরদেহ ভেসে উঠলে জেলেরা চরে নিয়ে আসে। এ নিয়ে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। নিখোঁজ অন্য জেলেদের উদ্ধারে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।