শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল কর্তৃক ২৬টি হারানো মোবাইল, বিকাশ ও নগদের সর্বমোট ৭৬ হাজার টাকা উদ্ধার এবং ফেসবুক প্রতারণার স্বীকার দুই নারীকে আইনি সহায়তা প্রদান করেছে।
যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম(বার), পিপিএম এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় জেলার বিভিন্ন থানায় মোবাইল হারানো সংক্রান্তে ভিকটিমের করা জিডি’র প্রেক্ষিতে গত একমাসে বিভিন্ন ব্রান্ডের সর্বমোট ২৬টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। এছাড়াও বিকাশ ও নগদ লেনদেনের সময় ভুলবসত অন্যের নম্বরে টাকা পাঠানো সংক্রান্তে ৪ জন ভিকটিমের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বমোট ৭৬ হাজার টাকা উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হয়রানির শিকার দুই জন নারীকে আইনি সহায়তা প্রদান করেছেন।
এসংক্রান্তে ০৩ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকালে পুলিশ সুপার নির্দেশক্রমে মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, “খ” সার্কেল, যশোর পুলিশ অফিস কনফারেন্স রুমে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল কর্তৃক ২৬টি হারানো মোবাইল, বিকাশের ও নগদের ৭৬ হাজার টাকা পূর্বক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিকবৃন্দ, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এর সদস্যবৃন্দ।
সেলটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য, ছবি আপলোড, গুজব, বিকাশ প্রতরণাসহ সাইবার স্পেসে নারী হয়রানি রোধে কাজ করে চলেছে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সোশ্যাল মিডিয়ায় সংগঠিত অপরাধের আইনি সহায়তা প্রদান ও এটি ব্যবহারে সর্বসাধারণকে আরো বেশি সচেতন করার পাশাপাশি একই সাথে অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ব্যাপক তৎপর রয়েছে।
সাইবার স্পেসে যদি কোন নারী প্রতরণা বা হয়রানির শিকার হন তবে তাদের কাছে জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে অভিযোগকারীর নাম ও ঠিকানা সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে। সাইবার স্পেসে অপরাধ রোধে তথ্য দিন, সেবা নিন।
যশোর জেলা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।