2. জেলাসংবাদ
3. মেঘনায় রাতে অবাধে চলছে বালুবাহী বাল্কহেড, যেন দেখার কেউ নেই ॥ নৌ দূর্ঘটনার আসংখ্যা

মেঘনায় রাতে অবাধে চলছে বালুবাহী বাল্কহেড, যেন দেখার কেউ নেই ॥ নৌ দূর্ঘটনার আসংখ্যা

1. আপডেটের সময় : জানুয়ারি, ৩০, ২০২২, ১২:০০ অপরাহ্ণ
2. 81 বার দেখা হয়েছে

মতলব উত্তর প্রতিনিধি:-মতলব উত্তর উপজেলার নদী পথের এক নীরব ঘাতক নৌ-যান বালুবাহী বাল্কহেড। দিনের বেলায় তো বটেই রাতের বেলায় আরো ভয়ানক হয়ে উঠে এগুলো। সন্ধ্যার পর নদী পথে বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় লাইট বন্ধ করে আস্তে আস্তে চালায় সুকানীরা। এসব বাল্কহেডের বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
নৌ পুলিশের হিসাব মতে, গত তিন বছরে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বেপোরোয়া বালুবাহি ট্রলার চলাচলের কারন মেঘনা নদীতে প্রতিদিন পারাপার হওয়া লাখো মানুষের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। কখন দূর্ঘটিনা শিকার হয় এমন আতংকে থাকে নৌকা ও ট্রলারের যাত্রীরা।
জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মতলব উত্তরের মেঘনা নদীতে রাতেও চলাচল করছে বালুবাহী বাল্কহেড’সহ মালবাহী কার্গো। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার হচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ।
বেপোরোয়া বালুবাহি বাল্কহেড চলাচলের পাশাপাশি মেঘনায় অবাধে চলছে ফিটনেস বিহীন নৌযান। স্যালো মেশিন দিয়ে তৈরি খোলা ইঞ্জিনের বিকট শব্দে নদী তীরের লোকজনের ঘুম ভাঙ্গে প্রতিদিন। এসব নৌযানের মধ্যে বালুবাহী ট্রলারের সংখ্যাই বেশি। ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকাগুলো ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। নদী পারের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চাইছে না।
স্থাানীয়রা জানান প্রতিদিন মোহনপুর, এখলাছপুর খেয়াঘাট দিয়ে ট্রলার ও নৌকায় করে হাজারো মানুষ পারাপার হয়। কিন্তু বেপরোয়া ভাবে কার্গো, বাল্কহেড চলাচলের কারণে আতĽ নিয়ে আমাদের খেয়া পারাপার হতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। খেয়া পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় আমরা বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে কোথাও যেতে পারি না।
খেয়া পারাপারকারী নৌকার মাঝি বলেন, নৌ দুর্ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী বাল্কহেড। বাল্কহেড লোড হয়ে চলাচল করলে পানির সঙ্গে মিশে থাকায় এটাকে দেখা যায় না। এ ছাড়া বাল্কহেড দ্রুতগতিতে চলায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। বিশেষ করে রাতে বাল্কহেড চলাচল করলে দেখা যায় না।
বিআইডাব্লিউটিএ অফিস সূত্রে জানাযায়, আইনেই আছে, রাতে বাল্কহেড ও মালবাহী কার্গো চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু মেঘনায় রাতের বেলায় এসব নৌযান চলাচল করছে, এটা সত্য। অধিক মুনাফার লোভে মালিকেরা রাতে শ্রমিকদের নৌযান চলাচলে বাধ্য করছেন।
এদিকে বাল্কহেডের সুকানীরা বলছে ভিন্ন কথা তারা জানান মোহনপুর নৌ পুলিশ প্রতি বাল্কহেড থেকে ৫ শত টাকা নিয়ে রাতে চলাচলের সুযোগ দেয়। এ প্রসঙ্গে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অহিদুজ্জামান বলেন,আমি আমার পুলিশ কে বলেছি কোন বাল্কহেড যেন রাতে চলাচল করতে না পারে এবং কোন বাল্কহেড থেকে টাকা না নেয়ার জন্য। আপনি বলেছেন বিষয় টি আমার মাথায় রইল।

এই বিভাগের আরও খবর

•   বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার- বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন
•   বরিশালের সাবেক মেয়র সাদেক আবদুল্লা এর বাসায় অগ্নি সংযোগের সময় ২ কোটি টাকা নিয়ে পালালো ,কাজের বুয়া রাবেয়া ।
•   বিএনপি যুব দলের নাম ভাঙ্গিয়ে খোকন মাতুব্বরের বেপরোয়া চাঁদাবাজি
•   জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দেয়া পর্যস্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে-বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন।
•   ষড়যন্ত্র চলছে ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হবে, ঘরে বসে থাকলে চলবে না।
•   সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাদাবিকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর
•   যারা দেশটাকে ধ্বংস করেছে সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে-বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন।
•   ব্যানার-পোস্টারে নিজের ছবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিলেন সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন।  
•   গাইবান্ধার ক্রীড়া অনুরাগী ও জেলা জাসদ সভাপতি মনার মৃত্যু, শোকের ছায়া
•   কানাইঘাটে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা-লুটপাট: থানায় অভিযোগ