September 19, 2024, 7:14 am

তিতাসের অভিযানে সিদ্ধিরগঞ্জে দুই কয়েল কারখানাকে ১’লাখ টাকা জরিমানা

সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মাদরাসা রোড এলাকায় অনুমোদনহীন ২’টি কয়েল কারখানায় তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। একটি কয়েল কারখানা মালিককে ১’লাখ টাকা জরিমানা ও অপরটি সিলগালা করেছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র সহকারি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন ও সহকারি কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূসরাত আরা খানমের আদালত মিজমিজি মাদরাসা রোড এলাকায় হারুনের মালিকানাধীন সোনালী ব্র্যান্ডের মশার কয়েল কারখানােেক ১’লাখ টাকা জরিমানা ও আসাদের মালিমাকানাধী ম্যাজিক ব্র্যান্ডের কয়েল কারখানা সিলগালা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ তিতাসের ডিজিএম প্রকৌশলী গোলাম ফারুক জানান, কারখানা দু’টিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ছিল। গোপনসূত্রে সংবাদ পেয়ে কারখানাটিতে অভিযান চালানো হয়ে।
সিনিয়র সহকারি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন বলেন, অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অপরাধে তিতাস আইন ২০১২ এর ১ ধারা অনুযায়ী একটি কারখানাকে জরিমানা ও অপর করাখানা সিলগালা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এর আগেও আসাদ ও হারুনের কয়েল কারখানায় একাধিকবার অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু একদিনের মধ্যেই কারখানা মালিকরা আবার লাইন সংযোগ দিয়ে দেয়। তাদের কারখানায় অবৈধ সংযোগ লাগায় ফয়েজ। এসব কয়েল কারখানা থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করে নামধারী আওয়ামীলীগ নেতা আবু বকর সিদ্দিক আবুল। এই আবুলের শেল্টারে এলাকায় কয়েল কারখানাসহ অন্তত শতাধিক কারখানা থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। আবুল এবং ফয়েজ একই সিন্ডিকেটের লোক। এছাড়াও কারখানার দেখভাল ও বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে আমিনুল। এসব কারখানার কোন সরকারি অনুমতি নেই। বিএসটিআই ও পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে কয়েল কারখানা।
বারবার অভিযান চালিয়ে গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন ও জরিমানা করার পরও কি ভাবে আবার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয় জানতে চাইলে সোনালী কয়েল কারখানা মালিক হারুন আবু বকর সিদ্দিক আবুল ও ফয়েজের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। ফয়েজের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও আবু বকর সিদ্দিক আবুল শেল্টার দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য আর্থিক সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।####

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা